দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ উদ্বোধন হয়েছে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত মেট্রোরেল। তবে এই মেট্রোরেলে কীভাবে টিকিট কাটতে হবে সেটি অনেকের অজানা। আজ জেনে নিন মেট্রোরেলে চড়তে যেভাবে টিকিট কিনবেন।
মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনই তিন তলা। স্টেশনের প্রথম তলা পেরিয়ে দ্বিতীয় তলায় রয়েছে কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও ওয়েটিং রুম। এটিকে বলা হয় ‘কনকর্স লেবেল’। এখান থেকেই যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য টিকিট কাটার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে সিঙ্গেল কিংবা একক এবং পারমানেন্ট। টিকিট সংগ্রেহর পূর্বে যাত্রীকে প্রথমেই মনিটরে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। ইংরেজি এবং বাংলা দুটি ভাষা রয়েছে, যে ভাষায় আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সেটি নির্বাচনের পর একক কিংবা পারমানেন্ট (এমআরটি পাশ) নির্বাচন করতে হবে। তারপর আসবে গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশন পর্যন্ত কতো ভাড়া সেই তালিকা থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে গন্তব্য স্টেশনটি নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট সংগ্রহ করবেন সেই তালিকা আসবে। তারপর প্রয়োজনীয় টিকিট, গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করে ‘ওকে’ বাটনে টাচ করলে তখন মেশিন টাকা দিতে বলবে। টাকা দেওয়ার পর টিকিট কিংবা এমআরটি পাশ বেরিয়ে আসবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মেট্রোরেলের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। একজন যাত্রী একবারে ৫টির বেশি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না।
অপরদিকে, এমআরটি পাশ পদ্ধতিতে একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যতোবার খুশি যাতায়াত করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কার্ডটি সময়মতো অবশ্যই রিচার্জ করে রাখতে হবে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করে রাখা যাবে। প্রত্যেকটি মেট্রো স্টেশনে থাকা টিকিট ভেন্ডরের মেশিনের মাধ্যমেই রিচার্জ করা যাবে। টিকিট সংগ্রহ হয়ে গেলে যেতে হবে তৃতীয় তলায়।
যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তিন ধরনের ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে প্রতিটি স্টেশনেই। সিঁড়ি, এস্কেলেটরের পাশাপাশি বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়েছে লিফটও। দ্বিতীয় তলা হতে টিকিট সংগ্রহ শেষ করে সিঁড়ি কিংবা লিফটের মাধ্যমে পৌঁছাতে হবে তৃতীয় তলায়। টিকিট চেক ইনের বিষয়টি কিন্তু দ্বিতীয় তলাতেই শেষ করা হবে। টিকিট চেকও হবে ডিজিটালি। সেখানে কোনো কর্মীর প্রয়োজন পড়ে না। যদি কেও এটি না পারেন তাহলে নিরাপত্তা কর্মীরা যাত্রীদের সহযোগিতা করবেন।
তৃতীয় তলাতে অবস্থিত মেট্রোর মূল প্ল্যাটফরম। এই প্ল্যাটফরমে নির্দিষ্ট সময় পরপর ট্রেন এসে থামতে থাকবে। অটোমেটিকভাবেই দরজা খুলে যাবে। যাত্রীরা নামার পর আপনি উঠবেন। গন্তব্য স্টেশনে ট্রেন থামার পর যাত্রীরা নেমে এমআরটি পাশ পাঞ্চ করলেই দরজা খুলে যাবে। তারপর বেরিয়ে যেতে পারবেন যার যার গন্তব্যে। সিঙ্গেল এন্ট্রির কার্ডে ভ্রমণের মেয়াদ থাকবে এক বার। তবে ১০ বছর মেয়াদি কার্ডের যাত্রীরা বারবারই ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণের দূরত্বে ভাড়া অনুযায়ী অটোমেটিকভাবে টাকা (মাইনাস) কেটে নেবে। এভাবে যাত্রীরা টিকিট কেটে খুব সহজেই মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন। তবে প্রথম দিকে হয়তো অনেকেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারবেন না। সে জন্য সেখানে নিরাপত্তা কর্মীরা যাত্রীদের সহযোগিতা করবেন। তাই ভয়ের কিছু নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।