দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ‘অ্যাভাটার: ২’। এবার এটি মিলিয়ন ছাড়িয়ে বিলিয়নের পথে! যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই রেকর্ড গড়ছে জেমস ক্যামেরনের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ছবি ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।
বলিউড মুভি রিভিউজ বলছে যে, মুক্তির মাত্র ১২ দিনেই বিশ্বব্যাপী ছবিটি আয় করেছে ৯৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে কারণে ১ বিলিয়নের রেকর্ড গড়তে যে ছবিটি বেশি সময় নিবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইতিপূর্বে এই বছর ১ বিলিয়ন স্পর্শ করতে পেরেছে শুধু ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’ ছবি দু’টি। সেদিক থেকে এ পর্যন্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ‘অ্যাভাটার: ২’ চলচ্চিত্রটি।
অপরদিকে ভারতীয় বক্স অফিসে এ পর্যন্ত ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে ৩১৭ কোটি রুপি। আয়ের দিক থেকে যা এ বছর ‘আরআরআর’ এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী হিসেবে স্থান দখল করে নিলো। তবে ভারতে হলিউডের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসেবে এ পর্যন্ত স্থান দখল করে ‘অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম’ (৩৭৩ কোটি রুপি) ছবিটি। তবে ‘অ্যাভাটার: ২’ যে সেই রেকর্ড যে কোন সময় ভেঙে দিতে পারে, তা বেশ ভালোভাবেই ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় ‘অ্যাভাটার’। তখন মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র জগতে হইচই ফেলে দেয় এই চলচ্চিত্রটি। কেনোনা ওই সময় সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয় ‘অ্যাভাটার’। সিনেমাটি এই পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২৮০ কোটি ডলারের বেশি আয় করে, যা ছিলো সর্বকালের সর্বোচ্চ!
এ পর্যন্ত সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে এই ছবিটি। শুধু তা-ই নয়, ওই বছর অস্কারের ৯টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে ৩টি পুরস্কার জিতে নেয় ‘অ্যাভাটার’।
তারপর থেকেই অগণিত দর্শকের অপেক্ষা পরবর্তী ছবির জন্য। অবশেষে মুক্তি পেলো ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এই ছবিটি।
টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওর ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জেমস ক্যামেরন ও জন ল্যান্ডাও। এই পর্বে খুবই উচ্চ পর্যায়ের ভিজুয়াল এফেক্ট রয়েছে বলে জানা যায়। ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালয়ালামসহ বেশ কিছু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও চলছে এই সিনেমাটি। টিকেট পাওয়াও যেনো দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।