দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ‘ট্রেইনিং অব মাস্টার ট্রেইনার্স ইন ইংলিশ’(টিএমটিই) প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) প্রাথমিক শিক্ষকদের পঞ্চম কোহর্ট-এর গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হয়েছে।
এই উপলক্ষে ঢাকা পিটিআইয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি৪), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, এবং ড. উত্তম কুমার দাস, পরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, যশোর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং মৌলভীবাজার পিটিআই’তে অনুষ্ঠানটি লাইভ স্ট্রিম করে দেখানো হয়।
টিএমটিই প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যুক্ত মোট ৫৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, যেন তারা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের আরও উপভোগ্য ও কার্যকরভাবে ইংরেজি ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। এটি ১৪ সপ্তাহের একটি দীর্ঘ প্রোগ্রাম।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের সঠিক এবং সময়োপযোগী শিক্ষা দিতে হবে যা তাদেরকে এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওপিএমই) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই)এর সহযোগিতায় ব্রিটিশ কাউন্সিল যে ধরণের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত করবে।”
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ) ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, “টিএমটিই- এর মতো এমন চমৎকার একটি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ এর আগে কখনও গ্রহণ করা হয়নি। আমরা গত ২ বছরে সারা বাংলাদেশের মোট ১৭৩৩ জন শিক্ষককে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশের ৬৫,৫৬৬টি স্কুলে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমরা যদি এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ কমিউনিটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে।”
সরকারের ২০১৮ সালে করা ‘প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ৪ (পিইডিপি৪) এর অংশ হিসেবে ‘ইংলিশ ফর প্রাইমারি টিচার্স’ (ইপিটি) ট্রেনিং প্রোগ্রামটির দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ কাউন্সিল। ইংরেজি শিক্ষায় শিশুদের দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির দ্রুত অনুমোদন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চতুর্থটি, অর্থাৎ ‘মানসম্মত শিক্ষা’র সাথে সম্পর্কিত, যে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। জাতীয় শিক্ষা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পরের বছর টিএমটিই প্রকল্পে ৪৭ কোটি টাকার অনুমোদন দেয় সরকার। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিলম্বিত হওয়ার পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি টিএমটিই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
প্রশিক্ষণ প্রকল্প হিসেবে পরিচালিত টিএমটিই’র আওতায় দেশের প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর (পিটিআই) সাথে একহয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে এই অংশীদারিত্ব অটুট রাখতে অত্যন্ত আগ্রহী ব্রিটিশ কাউন্সিল ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি টিএমটিই’র পরবর্তী ধাপগুলো পরিকল্পনায় উভয়ের সাথে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।