দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শার্লট লিচ নামে এক নারী যুক্তরাজ্যের এসেক্স কাউন্টিতে একটি প্রযুক্তি পরিষেবা সংস্থায় কাজ করতেন। গর্ভবতী হওয়ার পর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তা জানান। কিন্তু এ কথা জানার পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়! আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ দিতে হয় কর্তৃপক্ষকে!
শার্লট লিচ নামে নারী জানিয়েছিলেন, তিনি তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কারণ এর আগে তার বেশ কয়েকটি গর্ভপাত ঘটেছিলো। সে কারণেই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। এতে সমবেদনা দেওয়া তো দূরের কথা খবর শোনার পরই শার্লটকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন অমানবিক আচরণের জন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন শার্লট। ৩৪ বছর বয়সী শার্লটকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার পাউন্ড (১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা) দিতে কোম্পানিকে নির্দেশ দেয় আদালত। সম্প্রতি দেশটির একটি শ্রম অধিকার ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছে।
পূর্ব লন্ডনের ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত ওই শুনানিতে বলা হয় যে, শার্লট ২০২১ সালের মে মাসে সিআইএস সার্ভিসে প্রশাসনিক সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বছরে ২০ হাজার পাউন্ডের চুক্তিতে এই কাজ করেছিলেন। শার্লট নতুন বছরের জন্য সাইন ইন করার কয়েক সপ্তাহ আগে গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
শুনানিতে আরও বলা হয় যে, শার্লট তার কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থাপক নিকোলা ক্যাল্ডারকে বলেছিলেন যে, অতীতে তার ৮টি গর্ভপাত হয়েছে। অনাগত সন্তান নিয়ে তার দুশ্চিন্তার কথাও তাকে জানান তিনি। কর্মকর্তা শার্লটকে সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে তাকে চাকরিচ্যুত করেন।
নিকোলা কাল্ডার বলেন যে, তিনি শার্লটের চুক্তি নবায়নে স্বাক্ষর করেননি। সে কারণে তিনি কোনো রকম মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকারী নন। তিনি শার্লটকে বলেছিলেন যে, ‘আপনাকে ধরে রাখার জন্য আমাদের কোন বাধ্যবাধকতাও নেই।’
উল্লেখ্য, শার্লট বৈষম্য এবং অন্যায়ভাবে বরখাস্তের অভিযোগে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল তাকে ১৪ হাজার ৮৮৫ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, কারণ হলো সে গর্ভবতী হওয়ার কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।