দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়া নিয়ে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর। অপরদিকে এ হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রশ্ন তুলেছে। রাশিয়া বলেছে, রাসায়নিক হামলায় বিদ্রোহী গ্রুপ জড়িত।
সিরিয়ার খান আল আসাল শহরে গত ১৯ মার্চ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে দেশটির সরকারি বাহিনী নয় বরং বিদ্রোহীদের একটি গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। ওই শহরে তদন্ত করে এমনটি মনে করছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, বুধবার ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রাশিয়ান একটি জাহাজ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছেছে। খবর বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ মার্চের হামলায় যে উৎক্ষেপকের মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তা সিরীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র সরঞ্জামের মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বরং ওই পদার্থ যে খোলে ধারণ করা হয়েছিল তা একটি বিদ্রোহী গ্রুপের নির্মিত খোলের সঙ্গে মিলে যায়। ১০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি রাশিয়া জাতিসংঘের কাছে হস্তান্তর করেছে। খান আল আসাল শহর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেন রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা।
প্রাপ্ত বিশ্লেষণ থেকে তাদের মনে হয়েছে, ওই শহরে প্রাণঘাতী সারিন গ্যাসভর্তি উৎক্ষেপকটি বিদ্রোহীরাই নিক্ষেপ করেছিল। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বাশার আল নাসর ব্রিগেডের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গেই ওই খোলের মিল পাওয়া গেছে। মাটি ও খোল বিশ্লেষণ করে সারিন গ্যাস ও অন্যান্য যে নমুনা পাওয়া গেছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করেছিল পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। ওই হামলায় ২৬ বেসামরিক ব্যক্তি ও সেনা সদস্য নিহত হন। আহত হন ৮৬ জন। রাশিয়ান নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে বুধবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছেছে ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী জাহাজ ‘এডমিরাল প্যান্টেলেয়েভ’। এটি গত ১৯ মার্চ রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক বন্দর ছাড়ে। আরও তিনটি রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অভিমুখে গতকাল তুরস্কের বসফরাস প্রনালি পার হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। সিরিয়া থেকে ইতিমধ্যে অন্তত ২০ লাখ মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। সিরিয়া অবশ্য এই হামলা প্রতিহত করতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় রাষ্ট্র এই হামলার বিরুদ্ধে। তারা মনে করেন যুদ্ধ কখনও শান্তি আনতে পারে না। তাই আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়া সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।