‘বাবা ছাড়াই বড় হবে পরীমনির সন্তান রাজ্য’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে পরীমনির সংসারে বিচ্ছেদের সুর শোনা যাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। রাজকে বিয়েবিচ্ছেদের চিঠি পাঠাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পরীমনি। অর্থাৎ ‘বাবা ছাড়াই বড় হবে পরীমনির সন্তান রাজ্য’।

রবিবার (১ জানুয়ারি) সকালে তিনি প্রকাশ করেছেন রক্তাক্ত বিছানার কয়েকটি ছবি। সর্বশেষ পরীমনি জানিয়েছেন তার শরীরে হাত তোলার কথা।

পরীমনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেওয়ার মতো এতোবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না কখনই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকমতো টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেনো, শত কোটিবার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটাই রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়ালো।

পরীমনির গায়ে হাত তোলার অভিযোগ এনে লেখেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এতোদিন ধরে আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। তবে বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবারই সবকিছু ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যেই পড়ে থাকি। তবে তাতে কী আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে? না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এতো কাছে থেকে দেখে দেখে ও কখনও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য ও রাজের মঙ্গলের জন্যেই পৃথক হয়ে গেলাম।

রাজ তার জীবনে প্রাক্তন উল্লেখ করে পরীমনি আরও লিখেছেন, রাজ এখন শুধুই আমার প্রাক্তন’ই না, আমার ছেলের বাবা। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কোনো কিছুই বলছি না আমি। তবে আমার ওপর তার ও তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ কিংবা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কিন্তু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ই মাত্র ৭ দিনের পরিচয়েই বিয়ে করেন পরীমনি এবং শরীফুল রাজ। খবরটি ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি হঠাৎ করে জানিয়ে দেন পরীমনি। একইসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরও দেন পরীমনি। ২০২২ সালের আগস্টের ১০ তারিখ পরীমনি এবং রাজের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান রাজ্য।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।