৫০ হাজার বছর পর দেখা পাওয়া যাবে যে ধূমকেতুর!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বছর দু’বছর নয়, ৫০ হাজার বছর পর দেখা যাবে এই বিরল ধূমকেতুর। এই সময়ের মধ্যে এই ধূমকেতু একবার পৃথিবী এবং সূর্যের কাছাকাছি আসে।

পৃথিবী থেকে দূরবীন ছাড়াই খুব সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন বিশ্ববাসী। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং চাঁদের আলো বেশি আলোকিত না হয় তবেই খালি চোখে দেখা সম্ভব হবে।

প্যারিসের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন যে, পূর্ণিমার কারণে এটি খালি চোখে দেখা না গেলেও, আগামী জানুয়ারির ২১-২২ তারিখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য এটি পর্যবেক্ষণের ভালো একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটির নাম অনুসারে, ধূমকেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ)। গত বছরের মার্চে বৃহস্পতি গ্রহকে অতিক্রম করার সময় ধূমকেতুটি প্রথম শনাক্ত করেছিলো জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ১২ জানুয়ারি এই গ্রহটি সূর্যকে অতিক্রম করবে।

১ ফেব্রুয়ারির পর অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি ধূমকেতুটি যখন মঙ্গল গ্রহ অতিক্রম করবে, তখনও এটি দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ধূমকেতুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি দূরত্বের মধ্যে থাকবে। তখন বাইনোকুলারের সাহায্যে কিংবা খালি চোখেই রাতের আকাশে এটি দেখা যেতে পারে। তবে ওই সময় পূর্ণিমা থাকলে আলোর আধিক্যে ধূমকেতুটি দেখা কঠিন হবে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক থমাস প্রিন্স বলেছেন, ‘ধূমকেতুটি পৃথিবীর কাছে আসায় দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে এটির গঠনও জানা সহজ হবে। তাছাড়াও এটি আমাদের সৌরজগৎ এবং এর বাইরের গ্রহ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।’

আগামী ২১ এবং ২২ জানুয়ারি এটিকে দেখার সবচেয়ে ভালো সময়ও হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্যারিস অবজারভেটরির জ্যোতিপদার্থবিদ নিকোলাস বিভার। ধূমকেতুটি উর্ট ক্লাউড নামে একটি এলাকা থেকে এসেছে। উর্ট ক্লাউড মূলত সৌরজগতের চারপাশে বিশাল এক গোলক, যেখানে রহস্যময় বরফের বস্তুর অবস্থান রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়। তার আগে সর্বশেষ এই ধূমকেতু যখন পৃথিবীকে অতিক্রম করেছিল, তখন পৃথিবীতে নিয়ানডারথলদের বিচরণও ছিল।

ফরাসি জ্যোতিপদার্থবিদ নিকোলাস বিভার বলেছেন যে, ‘এই ধূমকেতু এবার পৃথিবীকে অতিক্রমের পর পুরোপুরিভাবে সৌরজগতের বাইরে চলে যাবে। এই ধূমকেতুর গঠন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেজন্য নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটিকে এই ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে।’

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।