দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কৃত্রিম রঙে রাসায়নিকের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে সেটি আমাদের অনেকের জানা। তাই সেখান থেকে হবু মায়েদের অন্যকিছু না হোক, অ্যালার্জি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
হবু মায়েদের কী করা উচিত কিংবা কী করা উচিত নয়, সেই বিষয়ে নানা জনের নানা মতও রয়েছে। অনেকেই বলেন যে, এই সময় ইচ্ছা করলেই যেমন খুশি খাওয়া যায় না। তেমন বাইরের কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইদানীং হবু মায়েরাও নিজেদের পরিচর্যার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত সালোঁয় যাওয়া, ত্বক বা চুলের যত্ন নেওয়া সবই করে থাকেন আজকালকার হবু মায়েরা। তবে বাড়ির বড়দের নিয়ে কোনো বিধিনিষেধের শেষ নেই। বিশেষ করে রাসায়নিকযুক্ত যে কোনও জিনিসের ব্যবহার নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। তারা মনে করেন, চুলে রং করলে নাকি গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
এই ধরনের কৃত্রিম রঙে রাসায়নিকের ব্যবহারই বেশি হয়ে থাকে। তাই সেখান থেকে অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতেই পারে। সেজন্য ওষুধও খেতেও হতে পারে। এই ওষুধ থেকে যে গর্ভস্থ ভ্রূণের কোনও সমস্যা হবে না, তা হলফ করে বলা মুশকিল। তবে সকলের শরীরই সমান নয়। সকলেই যে এমন ধরনের অসুবিধা ভোগ করবেন, তেমনটি না-ও হতে পারে। তবে যা-ই করুন না কেনো, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করতে হবে।
আমেরিকার ‘অর্গানাইজ়েশান অফ টেরাটোলজি ইনফরমেশন সার্ভিস’ (ওটিস)-র বক্তব্য অনুযায়ী দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চুলে রং করা নাকি নিরাপদ। কারণ হলো, এই রং মাথার ত্বক পুরোপুরি শোষণ করে না কিংবা এটি রক্তেও মেশে না। তাই প্রজননের ক্ষেত্রে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না এই রং।
অপরদিকে, উত্তর ক্যারোলাইনার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা থেকে জানা যায়, এই সময় মহিলারা চুলে রাসায়নিক নির্ভর রং ব্যবহার করলে ‘নিউরোব্লাসটোমা’ কিংবা স্নায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলার জন্য আরও অনেক গবেষণার করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।