দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি পরিণত হতে সময় লাগে। আর তখন অপরিণত থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েডের জোগান দিতে পারে না। কোন লক্ষণে বুঝবেন আপনার শিশুর থাইরয়েড রয়েছে?
জন্মগত রোগ হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জন্মের ঠিক পরেও সমস্যাটা কোথায়, সেটি বোঝা যায় না। তবে সেই সমস্যার জেরে ভুগতে হয় আজীবন। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক না হওয়া শারীরিক বৃদ্ধি থেকে মানসিক বৃদ্ধি, পিছিয়ে থাকে পুরোটাই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগের নাম হলো ‘কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজ়ম’ (সিএইচ)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, থাইরো হরমোনের ত্রুটির জন্যই এই রোগটি দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে মানবদেহের গলাতে। তবে যাদের থাইরয়েড গ্রন্থি জিভের তলায় কিংবা অন্য অংশে থাকে, তারাই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার গ্রন্থিতে সঠিক পরিমাণ হরমোন উৎপাদন না হলেও এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
সন্তানধারণের প্রাথমিক পর্যায়েই অর্থাৎ ভ্রূণ অবস্থাতেই এই গ্রন্থি তৈরির কাজটি শুরু হয়। অনেক শিশুর শরীরে জন্ম থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বহু শিশুর আবার অনেক সময় থাইরয়েড গ্রন্থি পরিণতই হয় না। অপরিণত থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েডের জোগানও দিতে পারে না। নবজাতকদের থাইরয়েড হওয়ার কারণ বেশির ভাগটাই বংশানুক্রমিক হয়ে থাকে। এছাড়াও শরীরে আয়োডিনের অভাবের কারণে অনেক সময় এই রোগ হতে পারে। মূলত আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে।
কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন শিশুর থাইরয়েড রয়েছে
# শিশু খুব ঘুমোচ্ছে এবং মোটেও খেতে চাইছে না।
# হাইপোথাইরয়েডের সমস্যা থাকলে জন্মের পর জন্ডিসের সমস্যা প্রকট হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে শিশুরা অনেক শারীরিক সমস্যায় বেশ কিছু দিন ভুগে থাকেন।
# শিশুদের ওজন হঠাৎ খুব বেড়ে গেলেও সতর্ক হতে হবে।
# শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# অনেক সময় জ্বর না থাকলেও শিশুর শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয়। শরীরে পেশির সক্ষমতা খুব একটা দেখা যায় না।
তবে এইসব লক্ষণ থাকলেই যে আপনার শিশুর থাইরয়েডের সমস্যা হবে, এমনটি অবশ্য নয়। তবে সতর্ক থাকা ভালো। জন্মের সময় কোনও শিশুর থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকলে তার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহতও হতে পারে। তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে এক বার থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।