দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা টানা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের পায়ে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে ঠিক কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেটি অনেকের অজানা।
পেশাগত কারণে অনেককেই ক্রমাগত দাঁড়িয়ে থাকার কাজ করতে হয়। এর থেকে পায়ে ব্যথা, কোমরে চাপ- এমন নানা ধরনের সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। পায়ে ব্যথা শুনতে হয়তো গুরুতর রোগ মনে করেন না অনেকেই, তবে বাস্তবে বিষয়টি বেশ গম্ভীর। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে অনেক জটিল রোগের জন্ম দেয়।
# এই ক্ষেত্রে শিরদাড়ার উপরে বেশি চাপ পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লাম্বার স্পাইনে ক্রনিক ব্যথাও হচ্ছে। সেই ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকেই ছড়িয়ে পড়ে।
# পায়ের তলার স্নায়ুগুলোতেও চাপ পড়ে। ভালো জুতো না পরলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আমাদের পায়ের পাতায় যে কার্ভ রয়েছে, সেটিকে বলা হয় আর্চ অব দ্য ফুট। যারা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন বা কাজ করেন, তাদের ওই আর্চের উপর অসম্ভব চাপ পড়ে। তার থেকে পায়ের তলার নার্ভেও চাপ পড়ার কারণে ক্রনিক যন্ত্রণা শুরু হয়। যাদের ফ্ল্যাট ফুট অর্থাৎ আর্চ নেই, তাদের সমস্যা আরও অনেক বেশি।
# আবার বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে ভ্যারিকোস স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দেয়। পায়ের ধমনির ভাল্ভগুলো অকেজো হয়ে যায়। এতে করে রক্ত পায়ের শিরায় এসে জমা হতে থাকে ও শিরাগুলো দড়ির মতোই ফুলে যায়। একেই ভ্যারিকোস ভেন বলা হয়ে থাকে। অনেক সময় শিরাগুলো এমনভাবে জুড়ে যায় যে, তখন পা ফুলতে শুরু করে এবং তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।
# সাধারণভাবে সাইটিক নার্ভ আমাদের কোমর হতে পা পর্যন্ত গেছে। দাঁড়িয়ে কাজ করলে এই স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। আর তখন পেশি শক্ত হয়ে গেলেই ব্যথা হয়। স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলে এই সমস্যাগুলো থেকে বেরোনো সম্ভব।
সমস্যা কাটাতে কী করবেন?
এই ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা নরম সোলের স্নিকার্স জুতো পরার পরমার্শও দিয়ে থাকেন। সিলিকন সোল কিনতে পাওয়া যায়, সেটিও জুতোর ভিতরে ফিট করিয়ে নেওয়া যাবে। তাছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিক করতে হলে আপনাকে স্ট্রেচিং, সাইক্লিং-এর মতো ব্যায়াম করতে হবে নিয়ম করে। পায়ে যদি অসহ্য যন্ত্রণা করে তাহলে ঈষদুষ্ণ পানিতে বেশ খানিকটা লবণ দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। ক্লান্তিও কাটবে আবার পায়ের পাতার পেশিগুলোও আরাম পাবে অনেকটা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।