দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার সন্তান যখন তখন মিথ্যা বলার স্বভাব তার জীবনে নানা ক্ষতি করে, ছোট থেকেই তা রুখে না দিলে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। তাহলে বকুনি বা মারধর ছাড়াই ওর স্বভাবে বদলাবেন যেভাবে।
বাড়তি বয়সে শিশুদের যে সমস্যাগুলো অভিভাবকদের বেশি করে ভাবায়, তারমধ্যে অন্যতম হলো সন্তানের যখন তখন মিথ্যা কথার বলার প্রবণতা। মনোবিদরা মনে করেন, বকুনি খাওয়ার ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়ে এই অভ্যাসটি বাসা বাঁধে শিশুদের স্বভাবের মধ্যে। কোনও কোনও সময় মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে গেলেও তা পরে কিন্তু বড়সড় আকার ধারণ করে। শুধু তাই নয়, কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা রকম ক্ষতি করে, ছোট থেকেই তা রুখে না দিলে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে কোনো এক সময়।
চলার পথে আমাদেরও কখনও কখনও মিথ্যার আশ্রয়ও নিতে হয়, তবে তা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। শুধু তাই নয়, শিশুরা যেহেতু ঘটনার গুরুত্ব বোঝে না, তাই এই সমস্যা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে, তা না হলে ছোটবড় সব বিষয়েই তাদের মিথ্যা বলার প্রবণতা অজান্তেই বেড়ে যাবে।
সাধারণত শিশুরা অনেক সময়ই বড়দের নজর নিজের দিকে টানতে মিথ্যা বলে থাকে। কখনও কখনও কল্পনার আশ্রয় নিয়ে, আবার কখনও বকুনির ভয়েও মিথ্যা কথা বলে বসে তারা। এই স্বভাবের জন্য অনেক বাবা-মা-ই শিশুদের ব্যাপক বকাবকি করে থাকে। তবে শাসন কিংবা মারধর না করে এই স্বভাব রুখে দিতে পারেন আপনি- তবে কিছু সিস্টেমে এটি করতে হবে।
# আপনার সন্তানকে প্রথম থেকেই গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, ঈশপের গল্প, নীতিকথা শেখাতে হবে। বড় মানুষরা কেও মিথ্যা পছন্দ করতেন না বা মিথ্যা বিষয়টা গ্রহণীয় নয়- সেই ধারণাটি ছোট থেকেই তাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
# শিশুদের সামনে যতোটা সম্ভব মিথ্যা এড়িয়ে চলতে হবে। তারা অভিভাবকদের থেকেই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলা শেখে।
# মিথ্যা বলা কতোটা খারাপ বা আপনাদের বাড়ির সকল সদস্য এই মিথ্যা বলাকে কতোটা ঘৃণা করেন- সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা শিশুকে দিতে হবে। মিথ্যা কথা বললে আপনি বকাবকি না করে ওর সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বলা বন্ধ করে দিন, দেখুন তাতে সমস্যা কিছুটা কমে কি না।
# আপনার সন্তান কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে, সেদিকে আপনি সব সময় লক্ষ রাখুন। তার চারপাশের বন্ধুরা কেমন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে আপনাকেই। তাদের মধ্যে কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেনো আপনার শিশুকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে, সেই বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে আপনাকেই।
# কোনটি মিথ্যা ও কোনটি কল্পনা, তা আগে আপনারা নিজেরা বুঝুন। কিছু কিছু কল্পনা শিশু বয়সের জন্যই নির্ধারিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেও যেতে পারে। কাজেই ছোটখাটো কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা কখনও দুশ্চিন্তা করবেন না। শাসনের বাড়াবাড়ি না করে, প্রয়োজনে কথা বলুন শিশুর সঙ্গে। কোনওভাবেই মিথ্যা রুখতে না পারলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জানুয়ারী ১৬, ২০২৩ 12:32 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…