দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু খাবারে বাইরে থেকে স্বাস্থ্যগুণসমৃদ্ধ মনে হলেও, তার ভিতরে হয়তো লুকিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। যে কারণে ওজন হু হু করে বাড়ছে।
শরীরের যত্ন নিতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনই বিকল্প নেই। শরীরের অন্দরে কী ক্রিয়া-বিক্রিয়া চলছে, তা বাইরে থেকে কিন্তু বোঝার উপায় থাকে না। যে কারণে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ভরসা রাখতে হয় এমন কিছু খাবারের উপর, যেগুলো মূলত শরীরের দেখাশোনা করতে সক্ষম।
সংক্রমণজাতীয় কোনও সমস্যা কিংবা ওজন কমানো, সবকিছুতেই এগিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষ করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনি কী খাচ্ছেন, সেটি খুবই জরুরি। অনেকেই রোগা হবেন ভেবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলেন। অথচ দেখা যায় যে, আশানুরূপ ফল তাতে কখনও মেলে না। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এর একটি কারণও হতে পারে, স্বাস্থ্যকর মনে করে ওজন কমানোর জন্য আপনি যে খাবারগুলোর উপর ভরসা রাখছেন, আসলে সেগুলোতেই লুকিয়ে রয়েছে স্থূলতার বীজ। আসলে বাইরে থেকে স্বাস্থ্যগুণসমৃদ্ধ মনে হলেও, কোন খাবারগুলো খেলে উল্টো আরও বেড়ে যেতে পারে ওজন।
গ্র্যানোলা
সকালের নাস্তায় অনেকেরই গ্র্যানোলা থাকে। বিশেষ করে যারা ওজন কমিয়ে রোগা হতে চাইছেন, তারা ভরসা রাখেন এই খাবারটিতে। ড্রাই ফ্রুটস, ওটস, মধু দিয়ে তৈরি গ্র্যানোলা ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনটিই বিশ্বাস করেন অনেকেই। তবে সত্যিই কী গ্র্যানোলা উপকারী? পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, গ্রানোলাতে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সেইসঙ্গে মধু ও ড্রাই ফ্রুটস তো আছেই। এই দু’টোতেই চিনির আধিক্য একেবারে কম নয়। শর্করা ছাড়াও গ্র্যানোলাতে ফ্যাটের মাত্রা বেশি। তাই ডায়েটে আদৌ গ্র্যানোলা রাখবেন কি না, তা সত্যিই ভেবে নেওয়া জরুরি।
কীভাবে বানানো হয় গ্রানোলা: গ্রানোলার প্রধান উপকরণ হিসেবে ওটস, গম, কর্নফ্লেক্স, বেকওয়েট ব্যবহার করা হয় ঠিকই সঙ্গে মেশানো হয় খেজুর, অ্যাপ্রিকট, কিশমিশ, বিভিন্ন বাদাম, মধু, বীজ, বেরি, চকোলেট িএবং স্বাস্থ্যউপযোগী কিছু মশলা। এই গ্রানোলা তৈরি করা হয় বেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে।
স্যুপ
যারা ডায়েট করছেন তাদের অনেকেরই রাতের খাবারে থাকে স্যুপ। আলাদা করে তৈরি করার ঝক্কি নেই। প্যাকেট কেটে গরম পানির মধ্যে ঢেলে দিলেই তৈরি হয়ে যায় স্যুপ। সময় বাঁচলেও এই বাজারচলতি স্যুপ ক্ষতি করে শরীরের। যে কারণে খাচ্ছেন, কোনও লাভই হচ্ছে না। কারণ এই ধরনের স্যুপ তৈরির মশলায় লবণ থাকে। রোগা হওয়ার ডায়েটে লবণ হলো সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি জিনিস। সময় লাগলেও তার চেয়ে বাড়িতেই নানা রকম সব্জি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারেন। তবে ভুলেও এতে লবণ মেশাবেন না।
ফলের রস
গোটা বা কাটা ফল খাওয়া ছাড়াও ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। আবার প্যাকেটজাত বাজারচলতি ফলের রস অনেকেই কিনে রাখেন। ফলের রস খাওয়ার অর্থই হলো ওজন ঝরবে দ্রুত। এমনটিই মনে করেন অনেকেই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। কারণ বাজারচলতি ফলের রসে অনেক বেশি শর্করা থাকে। কৃত্রিমভাবে বানানো এই পানীয়ে ফ্যাটের পরিমাণও একেবারে কম নয়। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে বরং বাড়িতে বানিয়ে নিন ফলের রস। পৃথক করে চিনি, লবণ কোনও কিছুই মেশাবেন না।
প্রোটিন বার
অনেকেই শরীরচর্চা করছেন, আবার ঘামও ঝরাচ্ছেন। জিম থেকে ফিরেই খাচ্ছেন প্রোটিন বার। এটি কী ঠিক করছেন? অনেকেরই মনে হতে পারে যে, প্রোটিন বারের মতো স্বাস্থ্যকর জিনিস মনে হয় খুব কমই রয়েছে। এই ভাবনাটি যে একেবারে ভুল, তা কিন্তু নয়। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে গেলে হজমের গোলমালও দেখা দিতে পারে। ওজন কমানোর প্রথম শর্তই হলো ঠিকঠাক মতো হজম হওয়া। আর সেটিই যদি না হয়, তাহলে কীভাবে হবে? তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।