দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট্ট অঙ্গ হলো পিত্তথলি। লিভার কিংবা যকৃৎ দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই গলব্লাডারে এসে জমা হতে থাকে। সেখানে কোনো সংক্রমণ হলে বুঝবেন কীভাবে?
সাধারণত পিত্তাশয়ে কোনও সমস্যা হলে পেটের উপরের অংশের ডান দিকেই তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। গলব্লাডার কিংবা পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভুগেন। শরীরের ওই অংশে কোনও সমস্যা হলেই পেটের উপরের অংশের ডান দিকে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। তবে পিত্তথলিতে ব্যথার অর্থই যে পাথর জমা তেমনটি নাও হতে পারে। যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোটট্ট অঙ্গই হলো এই পিত্তথলি। লিভার কিংবা যকৃৎ দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই গলব্লাডারে এসেই জমা হয়ে থাকে।
গলব্লাডারে ব্যথা হওয়ার কারণগুলো কী?
কোলেসিস্টিস
কোলেসিস্টিসের আবার দু’টি ভাগ রয়েছে: ১) ‘অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস’ ও ২) ‘অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস’। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস ঘটে থাকে পিত্তথলিতে পাথর আটকে থাকার কারণে। অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস পিত্তনালিতে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণেই হয়ে তাকে। এই দু’টি কারণেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে।
কোলেডোকোলিথিয়াস
আসলে পিত্তনালিতে পাথরের উপস্থিতি ‘কোলেডোকোলিথিয়াস’ নামেই পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে বাধা সৃষ্টি করে, যে কারণে চাপ পড়ে এবং ব্যথাও বৃদ্ধি পায়।
বিলিয়ারি স্লাজ
মানবদেহের পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন ও অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণই হলো ‘বিলিয়ারি স্লাজ’। এই পদার্থগুলো জমা হওয়ার কারণে পিত্তথলিতে ব্যথাও হতে পারে।
কোন লক্ষণে বুঝবেন গলব্লাডারে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে?
# পেটের একেবারে ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথাটি কোমর ও ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এই রকম ব্যথা হলে সময় থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত।
# পেটের একেবারে ডান দিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাবও হয়, গা গোলানো ও অনেক সময় বমিও হতে পারে।
# পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের জ্বর অর্থাৎ তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
# পিত্তনালিতে বাধা ও পিত্তথলি থেকে পাথরের স্খলনের কারণে গাঢ় রঙের প্রস্রাবও হতে পারে। এইসব লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।