দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ হলো অভ্যাসের দাস। অভ্যাসই মানুষের জীবনকে পরিচালিত করে- এমনটি মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অভ্যাসের দাস হয়ে থাকলে জীবনকে কিন্তু ফুলের মতো সাজানো সম্ভব নয়। তাই কিছু অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন।
হুট্ করেই কোনও অভ্যাস বদলে ফেলা সহজ মনে হলেও আদতেও ততোটা সহজ নয়! তবে খারাপ অভ্যাস যতো শীঘ্র সম্ভব ত্যাগ করা দরকার। এতে নিজের যেমন মঙ্গল হবে- তেমনি এই অভ্যাস দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিলে ভবিষ্যতে সমস্যাও কম হবে না। ভবিষ্যত সুস্থ রাখতে হলে সঠিক লাইফস্টাইল লিড করাটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
সঠিক লাইফস্টাইল বলতে আপনি আসলে কী বুঝবেন? এর উত্তরে যোগা প্রশিক্ষক স্মৃতি জানিয়েছেন, আমরা প্রতিদিন কী করি এবং কীভাবে করি তার পুরোটাই নির্ভর করে লাইফস্টাইলের উপর। যার মধ্যে পড়ে খাদ্য এবং পানীয়, ব্যায়াম ও মানসিক অবস্থা সবটাই পড়ে এর মধ্যে। আমাদের শরীর কেনো অসুস্থ হয়? যখন আপনার লাইফস্টাইলের অবনতি হতে থাকে, তখন শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তা প্রভাব পড়ে। ধীরে ধীরে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলী প্রভৃতি দুর্বল হয়ে পড়ে ও রোগ-ভোগ ঘিরতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন করা কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন যোগ শিক্ষক স্মৃতি।
স্যালাডে কাঁচা সবজি ও ফল অনেকেই খান। তবে এগুলো খেলে শরীরে শীতলতা ও শুষ্কতা তৈরি করে। প্রতিদিন খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপরেও প্রভাব ফেলে। দীর্ঘমেয়াদে এই অভ্যাস চলতে থাকলে পেট ফাঁপা ও বায়ু দোষও হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং হালকা মশলায় রান্না করা স্যালাড খেতে হবে।
খালি পেটে হালকা গরম পানি খেতে হবে, যা সারাদিন হজমশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। খালি পেটে চা-কফি পান করলে শরীরে টক্সিনের মাত্রাও তখন বেড়ে যাবে।
আপনি কি দিনের যে কোনও একটা সময় মলত্যাগ করেন? অর্থাৎ মলত্যাগের নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই? এমন অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক সময় অভ্যাস না গড়লে শরীরে ময়লা পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার দু’ঘণ্টার মধ্যেই পেট পরিষ্কার রাখতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য এই অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে পারে। মলত্যাগের আগে কখনও কিছু খাবেন না বা পানও করবেন না।
খাবার চিবিয়ে খাওয়া
আমাদের পেটে কিন্তু দাঁত নেই, তাই খাবার খাওয়ার সময় ৪০ বার চিবানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ৪০ বার চিবোতে না পারলেও সামগ্রিকভাবে খাবার চিবানো প্রয়োজন। যোগা শিক্ষকরা মনে করেন, একবার এই কাজটি করে দেখুন। দেখবেন ফল পাবেন হাতেনাতেই। তাছাড়াও, খাবার খাওয়ার সময় অন্য কোনও কাজ করা মোটেও উচিত নয়।
খাওয়ার পর গোসল করা
আমরা যখন কোনো খাবার খাই, তখন তা শরীরে তাপ উৎপন্ন করে থাকে। এই তাপ বিশেষ করে পরিপাক অঞ্চলে তৈরি হয়ে থাকে, তাই খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরে ব্যাঘাতও ঘটাতে পারে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।