বেশি পানি খেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস মোটেও ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। এতে করে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

শরীর সুস্থ রাখতে পানি খাওয়ার কোনই বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদ হতে চিকিৎসক, সকলের মুখেও একই পরামর্শ শোনা যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, পানির গুণেই সুস্থ থাকে শরীর। পানির ঘাটতি ডেকে আনে মারাত্মক বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা। পানির মাহাত্ম্যের কথা মাথায় রেখে তাই ক্ষণে ক্ষণে পানি খান অনেকেই। চিকিৎসকরা মনে করেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খাওয়া জরুরি। তবে রোগের ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই তার চেয়ে বেশি পানি খান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস মোটেও ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। বিশেষ করে যারা লবণ কম খান, তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খাওয়ার কারণে বিপদ আরও বাড়তে পারে। দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রাম খাচ্ছেন, অথচ পানি খাওয়ার পরিমাণ ৫ হতে ৬ লিটার, তাহলে মুশকিল।

লবণ খাওয়ার পরিমাণের সঙ্গে পানি খাওয়ার ভারসাম্য বজায় রাখাটা জরুরি। দিনে ৫ হতে ৭ গ্রাম লবণ খেলে ৫ হতে ৭ লিটার পানি খাওয়া যেতে পারে। তবে লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, বেশি পানি খেলে রক্তে সোডিয়াম কমেও যেতে পারে।

আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করে পানির চাহিদা। শাক-সব্জি, ডালের মতো খাবার খেলে পানি একটু কম খেলেও চলে। তবে বাইরের তেল-মশলা জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে পানি বেশি করে খেতে হবে। অর্থাৎ শরীরে পানির প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে, তবে সেটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু শরীরে প্রবেশ করলে সমস্যা শুরু হয়। বমি বমি ভাব, শারীরিক ক্লান্তি, মাথাব্যথা হওয়া, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি খাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণই হলো এগুলো। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।