দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ের মণ্ডপ পুরোপুরি প্রস্তুত। সুসজ্জিতভাবে কনেও হাজির। এই সময় ঘোড়ায় চেপে বরযাত্রীদের নিয়ে হাজির হলেন বর। কিন্তু কনে বিয়ে করতে নারাজ! কিন্তু কেনো? তবে তার পরের ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
এক অদ্ভুত বিয়ের সাক্ষী হলেন প্রেমের শহর আগরা। বিয়ের মঞ্চ সাজানো প্রস্তুত। ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে হাজির হলেন বর। তবে তাকে দেখার পর কনে যা করলেন, তারপর কনের সঙ্গে যা ঘটলো, তা যে কোনও গল্প-উপন্যাস-সিনেমাকেও হার মানায়।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ ফেব্রুয়ারি খাস উত্তর প্রদেশের আগরা শহরে। বিয়ের মণ্ডপে বরের গলায় মালা পরানোর ঠিক আগের মুহূর্তে কনে হঠাৎ ঘোষণা করেন তিনি বিয়েই করবেন না। কারণ হবু স্বামীকে একেবারেই পছন্দ নয়।
আচমকা এমন ঘটনার পর কনের বাড়ির লোকজন কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। মেয়েকে বোঝানোর বহু চেষ্টা করেন তারা। শেষে মেয়ে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার পরিবার মেয়ের পুরনো প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়ে তার সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।
৭ দিন আগেও অবশ্য এই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভারতের আগ্রার ওই কন্যার। বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষ লগ্নে এসে, বিয়ের ঠিক ৭ দিন পূর্বে হঠাৎ কনের পরিবার বেঁকে বসে। তাতেই বিয়ে ভেঙে যায়। মেয়েটিও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন। তবে যেহেতু বিয়ের সব প্রস্তুতিই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তাই মেয়ের জন্যই ৭ দিনের মধ্যেই ঠিক করা হয় নতুন পাত্র। ঠিক হয় একই দিনেই বিয়ে হবে মেয়ের। তবে শুধু বদলে যাবে পাত্র। তবে গণ্ডগোল বাধে বিয়ের মণ্ডপে।
পাত্রকে ঘোড়ার পিঠ থেকে নামতে দেখার পর আচমকা মত বদলান কনে। জানিয়ে দেন, এই পাত্রকে তিনি বিয়ে করবেন না। কেনো আপত্তি, তা জানতে চাওয়া হলে কনে স্পষ্টই বলে দেন যে, পাত্রের চোখ দু’টি অত্যন্ত ছোট। তাকে দেখতে একেবারেই ভালো লাগছে না তার। এমন পাত্রের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর কথা ভাবতেও পারছেন না তিনি।
মেয়ের কথা শুনে বাধ্য হয়েই বিয়ে বাতিল করেন পরিবার। আর তখন ডেকে পাঠানো হয় পুরনো প্রেমিকের পরিবারকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। অপরদিকে, কনের বাতিল করা পাত্রের পরিবারকে সামাজিক সম্মান নষ্টের ‘ক্ষতিপূরণ’ দিয়ে তবেই ছাড় পায় কনেপক্ষ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।