দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ফুড ট্র্যাভেল গাইড টেস্ট অ্যাটলাসের বিশ্বের সেরা ১০০টি স্যান্ডউইচের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় উঠে এসেছে এবার ভারতের নাম!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বিশ্বের সেরা ১০০টি স্যান্ডউইচের তালিকায় ১৩নং স্থান পেয়েছে মুম্বাইয়ের বড়া পাও নামক প্রতিষ্ঠানটি।
মুম্বাই ঘুরতে গিয়েছেন অথচ বড়া পাও চেখে দেখেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কোলকাতায় যেমন রাস্তার ধারে ধারে ফুচকার স্টল, তেমনই মুম্বাই নগরীর মোড়ে মোড়ে বড়া পাও-এর দোকান দেখা যায়। বান পাউরুটির মাঝে আলুর পকোড়া সঙ্গে ঝাল ঝাল গুঁড়ো চাটনি, ধনেপাতার চাটনি! সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার বা বিকেলের নাস্তা- মুম্বাইবাসী বড়া পাও পেয়ে গেলে তাদের কিচ্ছুটি আর চাই না! মুম্বাইয়ের বড়া পাও এবার বিশ্ব দরবারে সেরার সেরা স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের সেরা ১০০টি স্যান্ডউইচের তালিকায় ১৩ নং স্থান করে নিয়েছে মুম্বাইয়ের বড়া পাও।
ফুড ট্র্যাভেল গাইড টেস্ট আটলাসের বিশ্বের সেরা ১০০টি স্যান্ডউইচের তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকাতে প্রথম স্থানে রয়েছে তুরস্কের টমবিক স্যান্ডউইচ, দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্সের বুটিফার্রা আর তৃতীয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনার স্যান্ডউইচ ডে লোমো। এই তালিকায় ১৩ নম্বরে স্থান করে নিয়েছে ভারতের বড়া পাও।
কীভাবে এই পদের জন্ম হয়েছে?
প্রায় ৬০-৭০ বছর পূর্বে মুম্বাইয়ে এই পদের জন্ম হয়েছিলো। বড়া পাওয়ের বর্ণনা দেওয়ার সময় ওয়েবসাইটটির তরফ হতে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের প্রসিদ্ধ এই খাবারটির স্রষ্টা হলেন অশোক বৈদ্য নামে এক ব্যক্তি। তিনি দাদার ট্রেন স্টেশনের সামনে এক সময় রাস্তার ধারে খাবার বিক্রি করতেন। ১৯৬০-৭০ সালে তার মনে হয় শ্রমিকদের পেট ভরানোর জন্য এমন কিছু খাবার তৈরি করতে হবে যা খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলা যায় এবং বহনযোগ্যও হয়। সেইসঙ্গে শ্রমিকদের জন্য তৈরি খাবারের দাম খুব বেশি যেনো না হয়, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন তিনি। এই সব ভেবেই অশোক বানিয়ে ফেলেন বড়া পাও, যার জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া।’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।