দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে একদল যুবক প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে একটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেছেন যাতে করে তাদের ভাগ্যে বউ জোটে!
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা এবং হাস্যরসের জন্মও দিয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন যে, ওই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক সংকটের একটি চিত্রও ফুটে উঠেছে এই ঘটনার মধ্যদিয়ে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, পদযাত্রাটি শুরু করেছিলেন ৩০ জনের একটি দল ও শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নিয়েছে ৬০ জনের মতো যুবক। এরা সকলেই ওই রাজ্যের মান্ডিয়া জেলার কৃষক। কয়েক দশক ধরে এখানে নারী পুরুষের অনুপাতের পার্থক্য বেড়ে চলেছিলো এবং যে কারণে অনেক যুবকই বিয়ের করার জন্য পাত্রী খুঁজে পান না। এছাড়াও অনেকের আয় কম থাকা বা নারীদের মধ্যে ভিন্ন গোত্রে পছন্দ করার ঘটনার কারণেও পাত্রী সংকট পড়েছেন
অবিবাহিতদের পদযাত্রা কিংবা ব্রক্ষ্মচারিগালু পদযাত্রা হিসেবে পরিচিত ওই পদযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন মাল্লেশা ডিপি। তারা গিয়েছিলেন মহাদ্বেশাওয়ারা মন্দিরে যার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, তাদের প্রত্যাশা এবার পূরণ হবে।
“যে সময় প্রেম করার বয়স ছিল তখন আমি কাজ করেছি। তখন অর্থ আয় করেছি। এখন আমার সব রয়েছে তবে বিয়ে করার জন্য পাত্রীই পাচ্ছি না,” সাংবাদিকদের অপকটে বলছিলেন মাল্লেশা। অথচ তার বয়স এখন ৩৩। তবে তিনি মনে করেন নিজ এলাকায় বিয়ে করার জন্য সঠিক বয়স তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। এই পদযাত্রা আয়োজক শিবপ্রসাদ কেএম বলছেন যে, এই কর্মসূচির কথা ঘোষণার পর দু’শো জনের মতো নিবন্ধন করেছিলো অংশ নেওয়ার জন্য।
“তবে পরে অনেকেই অংশ নেননি কারণ স্থানীয় মিডিয়া এটিকে নেতিবাচকভাবেই উপস্থাপন করেছিলো,” বলেন শিবপ্রসাদ।
মূলত ভারতের মান্ডিয়া একটি উর্বর কৃষি অঞ্চল। এখানে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় আখ। তবে সাম্প্রতিক সময় কৃষি থেকে আয় কমে আসায় পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরেকজন ৩১ বছর বয়সী কৃষ্ণ বলেছেন যে, এখন অনেকেই মনে করেন কৃষি পেশায় থাকা পরিবারগুলো তরুণদের আয় রোজগার অনিশ্চিত।
মিস্টার মাল্লেশা বলছিলেন যে, গত কয়েক বছরে অন্তত ৩০ জন নারী তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন তার পেশা ও একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করা মূল কারন।
“আমাদের বসবাসের জায়গা ছোটো ও আয়ও কম,” বলছিলেন মি. শিবপ্রসাদ। তার মতে, এই পেশার পাশাপাশি যাদের ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে তাদের জন্য বরং বিয়ে করা খুবই সহজ।
উল্লেখ্য, অবিবাহিত এই যুবকরা যখন বিয়ের আশায় পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছিলো, ঠিক তখন একদল কৃষক আখের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলো। তবে এখনকার পাত্র-পাত্রী বৈষম্যের জন্য অনেকেই পুরুষতন্ত্রকেও দোষারোপ করেন। এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা যখন জন্মেছিলেন তখন ওই অঞ্চলের নারী পুরুষ অনুপাতের বিষয়টিও প্রকাশ পাচ্ছিলো বিভিন্ন মাধ্যমে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।