দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোভিডের পর থেকে জ্বরের নাম শুনলে আতঙ্ক ওঠে। আবার জ্বর থেকে মুক্তি পেলেও কিছুতেই শুকনো কাশি সারতে চাইছে না। গলা খুসখুসের সমস্যা সমাধান কিসে?
এই শহরে-গ্রামে কিংবা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিটি ঘরে জ্বর, সর্দি, গলাব্যথার সমস্যা দেখা যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও বাতাসে ভাইরাসের জোড়া ফলায় শ্বাসযন্ত্রের কোনও পুরনো রোগও আবার চেগান দিয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো নানা সমস্যা। নাম ও চরিত্র বদলে ভাইরাসরাও আরও বিচিত্র রূপ ধারণ করছে বিভিন্ন সময়। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার জ্বর, সর্দি না থাকলেও অনেক দিন ধরে কাশি হওয়া, কাজে অনীহা কিংবা ক্লান্তি, আবার শারীরিক দুর্বলতা, স্মৃতিভ্রম- এমন লক্ষণগুলোও রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমন ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এই বছর তা একটু অন্য রকম বলা যায়। সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই ধরনের ফ্লু হওয়ার কোনো কথা নয়। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ‘এইচ৩এন২’ যে কোনও আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হতে পারে। তার মেয়াদ বড়জোর ৩ থেকে ৫ দিন হয়ে থাকে। তবে এই সময় তা বেড়ে গিয়ে ৭ দিনে দাঁড়াচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে জ্বর কমে গেলেও অন্য উপসর্গ যেমন কাশি ভোগাচ্ছে বেশি দিন ধরে।
এবার এই ভাইরাসটি অনেক বেশি সংক্রামক দেখা যাচ্ছে। যে কারণে এক জনের থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময়ই লাগছে না। শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই ফুসফুস ও শ্বাসনালির উপরিভাগে তার জাল বিস্তার করছে। যে কারণে যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিলই না, তাদেরও এমন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যাদের অ্যাজ়মা বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সঙ্কট আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।