দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের বোকা ধরনের মানুষ, এমন মানুষদের আমরা হরহামেশাই গাধা বলে সম্বোধন করে থাকি। তবে শব্দটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হলেও গবেষণার তথ্য বলছে কিন্তু ভিন্ন কথা, গাধা নাকি মোটেও বোকা প্রাণী নয়!
গবেষণা তথ্যে বলা হয়েছে যে, গাধা আর পাঁচটা প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান, কর্মঠ ও উপকারী প্রাণীও বটে।
কেও কিছু ভুলে গেলে আমরা তাকে গাধা বলে বকা দিলেও গাধার রয়েছে আসরে অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। ২৫ বছর আগে দেখা এলাকা, এমনকি বহু বছর আগে দেখা গাধাদের খুব সহজেই চিনতে পারে এই প্রাণীটি।! একইসঙ্গে গাধা নাকি প্রচণ্ড জেদিও হয়ে থাকে, আত্মরক্ষা করার প্রবল ক্ষমতাও রয়েছে এদের।
এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এরা প্রচণ্ড কৌতূহলী। কোনো ঘটনাতে গাধা খুব সহজে চমকে ওঠে না। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কাজ। এদের চিন্তাধারা ঘোড়ার থেকেও স্বাধীন। একটি গাধা মরু পরিবেশে ৬০ মাইল দূরে থেকে অন্য গাধার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ রাখতে পারে। ঘোড়ার থেকে তাদের রয়েছে অনেক বড় কান, যা তাদের শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে।
বিশ্ব সভ্যতার ঐতিহ্য রক্ষা করতেও গাধাদের ভূমিকা কম নয়। কারণ হলো, ভারি সব উপকরণ বহন করতে ব্যবহার করা হয় গাধাকে। মিশরীয় ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর অধিকাংশ ধাতু বহন করা হয়েছিলো এইসব গাধার মাধ্যমে। শুধু তা-ই না, গ্রিসে সংকীর্ণ পথের ওপর কাজ করার জন্যও গাধা ব্যবহার করা হয়। রোমান আর্মিরাও গাধাকে কৃষিপালিত এবং পণ্য বহনকারী প্রাণী হিসেবে ব্যবহার করতো।
ভারতের রাজস্থান এবং জয়পুরের অন্যতম বাহনই হলো এই গাধা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জিনিসপত্র নিয়ে এরা খুব সহজে চলাফেরা করতে পারে।
পশুপালকদের কাছে গাধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। একজন দক্ষ পশুপালক পশুদের নেতা হিসেবে শক্তিশালী গাধাকেই বেছে নেবেন। কারণ হলো, খামারে পালন করা পশুরা অন্য হিংস্র পশু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে গাধা নেকড়ে বাঘ কিংবা অন্য শিকারীর হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করার জন্য সংকেত জানায়।
গাধা কোনো দিক দিয়েই আমাদের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রাণী নয়। তারা মানুষ এবং পশুকে শুধু উপকার করে। গাধাদের আসলে বোকা প্রাণী বলা হলেও, উপরের তথ্যগুলো জানার পর নিশ্চয়ই কেও গাধাকে শুধু বোকা বলবেন না। এখন থেকে অন্যকে গাধা বলার আগে নিশ্চয়ই একবার ভেবে নেবেন যে, আপনি আসলে কী বলছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।