দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সময় ওজন ঝরাতে, বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে এই লেবু-মধুর পানি খেয়ে থাকি। তবে এই অভ্যাসটি বিপদ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উষ্ণ পানিতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস। ওজন ঝরাতে, বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে অনেকেই এই ঘরোয়া টোটকাটির উপর ভরসা করে থাকেন। অনেকেই আবার গরমে তেতে-পুড়ে এসে লেবুর শরবত বানিয়ে খান। শরীরে ভিটামিন সি-এর জোগান দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়ই হলো এই পাতিলেবু।
মূলত শরীর হতে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এই লেবুর রস। এছাড়াও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভিটামিন সি-এর গুরুত্ব রয়েছে। তবে আপনি জানেন কী, এই পাতিলেবু মেশানো পানি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে নানা রকম রোগের উদ্রেকও হতে পারে?
পাকস্থলীর সমস্যা হলে
অনেকেই বলেন যে, উষ্ণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ভালো হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস মেশানো পানি খেলে হজম ভালো হওয়ার বদলে উল্টে হজমের গোলমালও দেখা দিতে পারে।
ডিহাইড্রেশনও হতে পারে
শরীর হতে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এই পানীয়। তবে বার বার মূত্রত্যাগ করতে গেলে সেই পরিমাণ পানি খাওয়ার প্রয়োজন। নাহলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে ডিহাইড্রেশন-এর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দাঁত ক্ষয় হতে পারে
লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। দীর্ঘদিন ধরে লেবুর রস মেশানো পানি খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে পারে। যে কারণে দাঁতের স্নায়ুগুলোর মুখ উন্মুক্ত হয়ে যায়। ঠাণ্ডা কিংবা গরম কিছু খেলেই তখন শিরশির করে।
চুলের ক্ষতি
খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই চুলে, মাথার ত্বকে লেবুর রস মেখে থাকেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই অভ্যাসে মাথার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। চুল অকালে পেকেও যেতে পারে।
মাইগ্রেন
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, লেবুর রসে থাকা ‘টাইরামাইন’ নামক যৌগটির সঙ্গে নাকি মাইগ্রেনের যোগ রয়েছে। তাছাড়াও সাইট্রাস জাতীয় ফলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়ে থাকে। তাই লেবু খেলে সেখান থেকেও মাথা যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে অনেক সময়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।