দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এই নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার শাকিবের কক্ষে স্ট্যাটাস দিলেন বুবলী।
শাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শাকিব ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এবার এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন শাকিবের স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন বুবলী। সেখানে বেশকিছু প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন বুবলী। তিনি জানতে চেয়েছেন যে, এতো অভিযোগ তাহলে আগে কোথায় ছিল? মধ্যরাতে শাকিবের হোটেল কক্ষে ওই নারীই বা কী করছিলেন?
পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী, যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমাও উপহার দিয়েছেন, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়েও ভেবেছেন। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে! অনেক বছর আগের অপারেশন অগ্নিপথ নামে একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিব খানের ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা হতে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন…।
আচ্ছা শুটিং চলাকালীন এতো এতো অভিযোগ যখন টেরই পেয়েছিলো উনারা, তাহলে কেনো তখন তাকে বাদ দেওয়া হলো না? কেনো সমিতিগুলোতে অভিযোগ করা হলো না? দু’পক্ষের কথা শোনা হলো না? ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিং -এর পর ২০১৮ সালে শাকিব খান তার সুপার হিরো নামে আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সঙ্গে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন। উনি যদি কোনো ব্যাপারে দোষী থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিং এর অনুমতি দিতেন না, আর শাকিব খান নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না।
তার খাবার খাওয়া নিয়েও বলা হচ্ছে, উনি কী ডায়মন্ডের খাবার খেতেন যেটা নিয়েও অভিযোগ যে, অনেক expense হতো!
মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে যা বলা হচ্ছে, মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে ওই নারী কী করছিলেন? কী তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল?
এতো বছর ওসব ঘটনা নিয়ে কেনো সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না! এখন কেনো এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন? আর দেশে হোক কিংবা বিদেশে! যে কেও যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায়ও নাম উঠতেই পারে, কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে, উভয় পক্ষের প্রমাণাদি নিয়ে।
কথা হলো, হঠাৎই এতো অভিযোগের ভাণ্ডার কেনো? কী চাচ্ছে? শিডিউল? মুভি শেষ করে দেওয়া? আমার জানামতে শাকিব খান অপারেশন অগ্নিপথের শিডিউল কয়েকবারই দিয়েছেন, কিন্তু শুটিংই হয়নি। এখনও যদি শিডিউল চাওয়া হয় সিনেমা শেষ করতে, উনি অবশ্যই শিডিউল দিবেন, কারণ হলো সে পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড, তা নাহলে ২৪ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতেন না, কারণ একজন সফল শিল্পী একদিনে তৈরি হয় না।
কয়েক বছর ধরে দেখছি যে, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠে পড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠেন। বিষয়টা যেনো এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনই তা হতে দেয়নি, দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে, শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।