দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো, পানি এবং স্যানিটেশন সংকট সমাধানের জন্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্নিতকরণ।
অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সংকট মোকাবেলায় একটি টেকসই সমাধান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। আমাদের বাংলাদেশও এই সংকটের বাইরে নয়। দেশের নানা অঞ্চলে আর্সেনিক দূষণ ও পানিতে উচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
এই সংকট নিরসনে বেসরকারি খাতের উদ্যোগে ২০০৯ সালে ‘প্রবাহ’ নামক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিশেষত আর্সেনিক-প্রবণ অঞ্চলে পানির সংকট মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তা করার উদ্যেশ্যে এই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। আজ বিশ্ব পানি দিবসে ‘প্রবাহ’ উদ্যোগের ১৪ বছর পূর্ণ হলো। লবণাক্ততাপ্রবণ উপকূলীয় অঞ্চলে এই উদ্যোগের কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনস্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উন্নতিতে অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপন করছে ‘প্রবাহ’।
এ পর্যন্ত এই উদ্যোগের আওতায়, দেশের ২২টি জেলায় ১১৭টি পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে, যার সাহায্যে প্রতিদিন ৫ লক্ষ ৮০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে প্রায় ২ লক্ষ ৮৩ হাজার মানুষের পানির চাহিদা মেটানো হচ্ছে। সম্প্রতি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের লবণাক্ততা-প্রবণ উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষত সাতক্ষীরায় বসবাসকারী মানুষের জন্য নিরাপদ পানির বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
রিভার্স অসমোসিস প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘প্রবাহ’ প্রকল্পের আওতায় আশাশুনি, শ্যামনগর ও নলতা উপজেলায় নতুন ৪টি পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পাচ্ছে ও জলবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের অধিবাসী শফিকুল ইসলাম ‘প্রবাহ’উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় নিরাপদ খাবার পানির তীব্র সংকট আছে। তাই আমরা পুকুরের পানি ব্যবহার করতাম, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু যখন থেকে প্রবাহ’র মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা শুরু করেছে, আমাদের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। কারণ আমাদের চিকিৎসা ব্যয় অনেকাংশে কমে গেছে।’
প্রবাহ’টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত। এই উদ্যোগ এসডিজি-৩ (সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ) এর পাশাপাশি এসডিজি-৬ (সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন) ও এসডিজি-১০ (অসমতার হ্রাস) অর্জনে সরকারকে সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও, ‘প্রবাহ’ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এগিয়ে চলায় বিশ্বাস করে। ইতিমধ্যে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের নিরাপদ খাবার পানির চাহিদা পূরণ করে চলেছে।
গৌরবান্বিত এই ১৪ বছরের সফল পথচলা ‘প্রবাহ’কে অনুপ্রেরণা দেয় নিরাপদ আগামী নিশ্চিতকরণে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।