কফির কাপে চুমুক দিয়েই কী রোগা হওয়া যায়?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘বিএমজে মেডিসিন’ নামক একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক তথ্য জানাচ্ছে যে , নিয়মিত কফি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সেইসঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

কফির গুণের শেষ নেই। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় কফির আরও এক নতুন গুণের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ‘বিএমজে মেডিসিন’ নামক একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক তথ্য জানাচ্ছে যে, নিয়মিত কফি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সেইসঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

গবেষকরা জানিয়েছেন , কফি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে, এটা নাকি প্রমাণিত। কফিতে থাকা ক্যাফিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন যদি অল্প পরিমাণ ক্যাফিনও শরীরে প্রবেশ করে, তা হলেও এই রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে। এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি মানুষ সকালে উঠে নিয়মিত কফি খাওয়ার অভ্যাস করেন। এটা জানার পর প্রত্যেকেরই রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে রক্তে শর্করার কোনও চিহ্নই পাওয়া যায়নি।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতেও সাহায্য করে। যে কারণে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। খিদে পেলে অনেকেই মিষ্টিও খেয়ে নেন। এতে করে আরও বিপদ বাড়ে। ডায়াবেটিসের সঙ্গে সঙ্গে স্থূলতার সমস্যাও দেখা দেয়। তবে এই দুই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে এই কফিতে।

এক পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় ১০ জনের মধ্যে ১ জন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে আবার প্রায় ৯৫ শতাংশই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এই ডায়াবেটিস ৪৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। এক কাপ কফিতে ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। প্রতিদিন যদি ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিনও শরীরে প্রবেশ করে, তাতেও অনেক লাভ। তবে এই কফিতে রাসায়নিক উপাদানও থাকে। যা শরীরের জন্য আবার খারাপ। তাই কফি খাওয়ার পরিমাণে একটু ভারসাম্য থাকাটাও কিন্তু দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।