গবেষণা বলছে: কমোডের থেকেও অনেক বেশি জীবাণু থাকে বিছানার চাদরে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি প্রতিদিন বিছানায় দিনের অনেকটা সময় কাটান, সেখানে এমন সব জীবাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যা সাধারণত শৌচাগারেও থাকে না! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন ভয়ংকর তথ্য।

ছুটি থাকলে বেশির ভাগ সময় বিছানায় কাটাতেই ভালোবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। বিছানায় পাতা চাদর আপাত দৃষ্টিতে দেখতে পরিষ্কার। তবে সেই চাদরই যে কোটি কোটি জীবাণু ও ছত্রাকের আঁতুড়ঘর, তা কী কখনও জানতেন? হালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়ংকর এক তথ্য।

মাইক্রোবায়োলজিস্ট জ্যাসন টেট্রো বলেছেন, প্রতিদিন যে বিছানাতে দিনের অনেকটা সময় কাটান, সেখানে এমন সব জীবাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যা সাধারণত শৌচাগারেও কখনও দেখা যায় না। হাতেনাতে তার প্রমাণ দিয়েছেন গবেষক। সমীক্ষা চলাকালীন অংশগ্রহণকারীদের বিছানায়, নতুন বালিশের খোল ও চাদর পাততে বলা হয়। টানা চার সপ্তাহ ওই চাদর ও বালিশের খোল ব্যবহার করার পর, জ্যাসন ওই চাদরগুলো অনুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় ধরে যা দেখেন, তা শুনলে অবাক হবেন।

গবেষণা শেষে তিনি জানিয়েছেন, একমাস পুরোনো ওই চাদরগুলোতে ব্যাক্টেরিয়ার প্রজাতির সংখ্যা প্রায় কোটি ছুঁয়ে গেছে! আবার চাদরের চেয়ে বালিশের খোলের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ তার আরও বেশি। তবে বিছানায় এমন ব্যাক্টেরিয়ার কারণ হলো ঘুমের সময় নিজেদের অজান্তেই শরীরের ঘাম, মুখের লালা বিছানায় মধ্যে পড়ে যায়। সেখান থেকেই নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়ে থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত পক্ষে দু’বার বিছানার চাদর ও বালিশের খোল পাল্টানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।