সেরা স্মার্টফোন হাতে আপনিও হতে পারেন আগামীর একজন সেরা কনটেন্ট নির্মাতা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাখো কনটেন্ট নির্মাতা ও ইনফ্লুয়েন্সারের মনমাতানো কনটেন্টের প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা হালের জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়।

প্রথমে ট্রেন্ডিং কোনো বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি আর তারপর নিজের মতো কৌশল ও পরিকল্পনা সাজিয়ে গল্পের কাঠামোকে বাস্তব রূপে ক্যামেরা বন্দী করা– এই নিয়েই কনটেন্ট নির্মাতাদের যতো কারবার! ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের বদৌলতে বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় বিনোদনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে এই কনটেন্ট।

হাবস্পট’-এর ২০২২ স্টেট অব কনজ্যুমার ট্রেন্ডস রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, কনটেন্ট নির্মাতাদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত খাতটি দ্রুত আর্থিকভাবে বিকশিত হচ্ছে। রিপোর্টের সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮-২৪ বছর বয়সীদের ৩০ শতাংশ ও ২৫-৩৪ বছর বয়সীদের ৪০ শতাংশই নিজেদেরকে কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে বিবেচনা করেন। 1 নতুন এই ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফোর্বস উল্লেখ করে-
“এখনকার বাচ্চাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় তারা বড় হয়ে কী হতে চায়, তবে তাদের বেশিরভাগেরই উত্তর থাকে ‘ইউটিউবার’; আগের মত মিউজিসিয়ান বা অ্যাথলেট নয়! ভবিষ্যতের ইউটিউবারদের সংখ্যা এখন অ্যাস্ট্রোনট হতে চাওয়া শিশুদের চেয়েও তিনগুণ বেশি”।

কনটেন্ট নির্মাতা হওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহের আরেকটি কারণ হল, বিশেষ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি কিংবা অভিজ্ঞতা ছাড়াই যে কেও এতে যুক্ত হতে পারেন। শুধু প্রয়োজন মাথাভর্তি আইডিয়া ও কিছু ডিজিটাল দক্ষতা। বাংলাদেশে ২০১০ সালের প্রথম দিকে শহুরে জীবন কেন্দ্রীক মজার মজার ভিডিও ইউটিউবে দেওয়ার মধ্যদিয়ে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করেন কনটেন্ট নির্মাতারা। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষামূলক ভিডিও, খাবার এবং ভ্রমণ বিষয়ে ভ্লগিং, কমেডি রিল- সহ বিনোদনের আরও নানান শাখায় পৌঁছে গিয়েছে কনটেন্ট নির্মাণ। তাই এই ডিজিটাল যুগে প্রায় সবাই যেনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী, যে শেষপর্যন্ত তার ‘হাউ-টু-বেক’ পেজ খুলতে পেরেছে- সে কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ১৮ বছর বয়সী হাইস্কুল শিক্ষার্থী, যে তার বন্ধুদের ভিডিও গেমের কৌশল শিখিয়ে ভিডিও বানাচ্ছে- সেও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ৫০ বছর বয়সী যে গৃহিণী তার নিত্যনতুন আইটেম রান্নার শখকে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর নতুন করে আবিষ্কার করেছেন- তিনিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এভাবে ছবি তোলা, গান বা নাচ, বাগান করার টুকিটাকি টিপস ও সাইকেলের প্যাডেল চেপে দেশের আনাচে-কানাচে ঘোরার গল্প– ক্যামেরার লেন্সে সব কিছুই রূপ নিচ্ছে অনন্য সব কনটেন্টে।

বলাই বাহুল্য, কনটেন্ট তৈরি করতে এখন তাই আর ভারী ভারী রেকর্ডিং ক্যামেরা, মাইক, ক্রেন ও জন বিশেকের দল প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় কেবল আগ্রহ ও ভালো ক্যামেরার একটি ফোন। অনেকেই ভাবেন, প্রয়োজনীয় সব ফিচার যুক্ত ভালো ক্যামেরা-সহ ফোনের দামও তাহলে নিশ্চয়ই অনেক বেশি হবে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। মানসম্মত কনটেন্ট তৈরির জন্য উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা-যুক্ত এমন স্মার্টফোনও বাজারে রয়েছে, যা কিনতে আপনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না! সাম্প্রতিক সময় বাজারে আসা স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি এবং গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি এমনই দু’টি ফোন।

নিখুঁত এবং ঝকঝকে ছবি তোলার নিশ্চয়তা দিবে এমন দূর্দান্ত ক্যামেরা যুক্ত এই দু’টি ডিভাইস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন যেকোনো নির্মাতার অনবদ্য কনটেন্ট নির্মাণের সেরা সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি এবং গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র মাল্টি-লেন্স ক্যামেরা ছবি ও ভিডিওকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এই দু’টি স্মার্টফোন দিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এমন নিখুঁত এবং ঝকঝকে ছবি তুলতে পারবেন, যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে খুব সহজেই। সুলভ মূল্য ও চমৎকার কালার ভ্যারিয়েন্টের এই দু’টি ডিভাইস আপনার শখ এবং ইচ্ছেপূরণ করে আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র পাশাপাশি এখন অনেক স্মার্টফোন উৎপাদকই কেবল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা মাথায় রেখে ডিভাইস নিয়ে আসছে। বিশ্ব জুড়ে এমন স্মার্টফোনগুলো তুলনামূলকভাবে বড় এবং ভারী ডিএসএলআর’এর সেরা বিকল্প হয়ে উঠছে।

তাই এখন আপনি অফিস ট্রিপে যান অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন, বা নিছক ঘুরে বেড়ান শহরের নাম না জানা অলিতেগলিতে– আপনার প্রতিটি সাধারণ মুহূর্তকে অসাধারণ কনটেন্টে রূপ দিতে যে কোনো সময় দুর্দান্ত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা থাকছে হাতের মুঠোয়।

তাই বলা যায়, কনটেন্ট নির্মাতা হয়ে ওঠার জন্য এটিই অতীতের যে কোনো কালের তুলনায় সবচাইতে সহজ সময়। দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে এমন গল্প তৈরি করতে হাতের মুঠোয় স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র মত স্মার্টফোনগুলো যেনো কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ম্যাজিকের মতো হয়ে এসেছে। চাইলেই কিন্তু এমনই একটি ফোন বেছে নিয়ে কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করতে পারেন আপনিও! খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।