দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোমবার সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আভা জেলায় ভয়াবহ এক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। এই বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে।
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। ওই দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালি থানাধীন এলাকার মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
আহতরা হলেন- হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের আল আমিন, চাঁদপুরের কচুয়ার জুয়েল, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মিনহাজ, লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের মো. রিয়াজ, মো. সেলিম, মাগুরার শালিখার আফ্রিদি মোল্লা, কুমিল্লার লাকসামের দেলোয়ার হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, একই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান এবং যশোর সদরের মো. মোশাররফ হোসাইন। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে যারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন আবদুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনু বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, বাসে মোট ৪৭ ওমরাহ যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি।
সৌদি আরবের জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জানিয়েছেন, সোমবার সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আভা জেলায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হন। বিকেল ৪টার দিকে আগাবত শার নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আভা জেলায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ওমরাহ যাত্রীদের নিয়ে রুবা আল হিজাজ পরিবহন কোম্পানির একটি বাস সন্ধ্যায় মক্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এই সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তার গ্রিল ভেঙ্গে ছিটকে পড়ে তাতে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক সিস্টেমের ত্রুটির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েই উল্টে যায় ও আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নামতেই পারেননি। যে কারণে অন্তত ২২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কনস্যুলেট প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন যে, মৃতদেহ পুড়ে যাওয়া ও বিকৃত হওয়ার কারণে তাদের জাতীয়তা নির্ধারণ করাও কঠিন হয়েছে।
এদিকে গতকাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওইসব ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারীতে ভারি হয়ে ওঠে। তারা নিহতদের লাশ ফেরত চেয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, যাদের লাশ আনার সামর্থ নেই তাদের সরকারী খরচে লাশ আনার ব্যবস্থা করা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।