দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়তে পারে রোগীর চোখেও। বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলে ‘থাইরয়েড আই’। থাইরয়েডের সমস্যা থেকে চোখে যে অসুবিধা তৈরি হয়ে থাকে, তা এক ধরনের ‘অটোইমিউন ডিজিজ’।
আপনি কী অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এ দিকে যতোই সচেতন থাকুন না কেনো, কিছুতেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। ভালো-মন্দ না খেয়েও বেড়ে যাচ্ছে ওজন, চুলও ঝরছে অকালেই, ত্বক হয়ে উঠছে যেনো জৌলুসহীন। কর্মব্যস্ত জীবনে ছোটখাটো এই শারীরিক সমস্যাগুলো আমরা প্রায়ই অবহেলা করে থাকি। অথচ এই উপর্গগুলোর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েডের চোখরাঙানি। তাই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলেই বিগড়ে যেতে পারে হরমোনের ভারসাম্যও, দেখা দিতে পারে নানা রোগ। অনেক সময় শুরুতেই বোঝা যায় না রোগের উপসর্গ। রোগ চিনতে যে দেরিটা হয়, তাতেই নষ্ট হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ সময়।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়তে পারে রোগীর চোখেও। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘থাইরয়েড আই’। থাইরয়েডের সমস্যা থেকে চোখে যে অসুবিধা তৈরি হয়ে থাকে, তা এক প্রকার ‘অটোইমিউন ডিজিজ’। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাটি রয়েছে, তা ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার বদলে উল্টে দেহের বিভিন্ন অঙ্গকেই বরং আক্রমণ করে বসে। একেই অটোইমিউন ডিজিজ বলা হয়। এই ক্ষেত্রে দেহেরই কোনও অংশকে ক্ষতিকর ভেবে তার বিরুদ্ধে ভুলবশত প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে থাকে শরীর। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলে কখনও কখনও এই একই সমস্যা দেখা দিতে পারে চোখ ও তার আশপাশের পেশিতে। চোখের আশপাশের পেশিকে চিনতে না পেরে তাকেই আক্রমণ করে বসে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। যে কারণে চোখ এবং তার পার্শ্ববর্তী নমনীয় পেশিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহের কারণেই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে?
# অনেক সময় বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, চোখের অক্ষিগোলক যেনো কোটরের বাইরে বেরিয়ে আসবে।
# চোখ রক্তের মতো লাল হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় ব্যথা। চোখের উপর ও নীচে ফোলাভাব দেখা যায়।
# অনেক সময় অতিরিক্ত পানি পড়া বা চোখ একেবারে শুকিয়ে যাওয়াও এই রোগের একটি লক্ষণ।
# আবার চোখ নাড়াতে সমস্যা হওয়া, চোখে উজ্জ্বল আলো পড়লে অস্বস্তি হওয়ার মতো ঘটনাও রয়েছে।
# আবার দেখা দিতে পারে দ্বৈত দৃষ্টি। এমনকি দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে।
এমন হলে কী করবেন?
থাইরয়েডের সমস্যায় যারা ভোগেন, তাদের নিয়মিতভাবে চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকলে অল্পের মধ্যেই ধরা পড়তে পারে সমস্যা। থাইরয়েডের রোগীদের চোখ ফুলে উঠলে কোনও মতেই তখন দেরি করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চট জলদি।
এই রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, আবার থাইরয়েড রোগের চিকিৎসার উপর জোর দিতে বলা হয়, এই ধরনের রোগীকে সেলেনিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তারপরেও যদি রোগ নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে চিকিৎসকরা তখন অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।