দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, তিনিই তার সেই যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন। ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস শরীরে কী কী কুপ্রভাব পড়বে, তা কী আপনি জানেন?
সত্তরের দশকে ‘মটোরেলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোনটি দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। আজ সেই যন্ত্র বদলে দিয়েছে পুরো দুনিয়াকে। সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপার দিনে খুব অল্প সময় ফোন ব্যবহার করতেন। প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দেন তিনি। অথচ স্রষ্টাই মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি বার বার। কুপারের মতে, ‘‘জীবনকে উপভোগ করতে হলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অবশ্যই কমাতে হবে।’’
মোবাইল ফোন এখন যেনো জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কারণে হোক বা অকারণেই হোক, দু’চোখ সব সময়ই মোবাইলের পর্দায় আটকে রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে মার্টিন বলেছেন যে, ‘‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেও মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন।’’
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, ৮ শতাংশ মানুষই এই অসুখের শিকার। ৩৫ শতাংশ এই অসুখের কথা জেনেও সচেতন হন না। প্রায় ২১ শতাংশ একেবারেই অসুখের দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছেন।
জানা যায়, এই অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। শুধু তা-ই নয়, ঘাড় ও গলার হাড় এবং স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তা চিরতরে ঝুঁকিয়েও দিতে পারে। শরীর কতো ডিগ্রি সামনের দিকে ঝুঁকে রয়েছে, তার উপর নির্ভর করবে ঘাড় এবং গলা কতোটা ওজন বইবে। মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটার সময় ঘাড় মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি ঝুঁকেই থাকে। এতে করে চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের উপর। দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে এক সময় সামনের দিকে ঝুঁকে যায় মেরুদণ্ড।
ঘাড় বেঁকে যাওয়া, গলা ও ঘাড় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া- এমন মারাত্মক কিছু পরিণতিও হতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই অসুখ সারাতে হলে একটাই উপায় রয়েছে, তা হলো মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানতে হবে। না হলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই অসুখ আক্রমণ করবে যে কোনো সময়।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on এপ্রিল ৬, ২০২৩ 3:23 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থ্রাইটিস, অর্থাৎ বাত যে শিশুদেরও হয়, সে কথা অনেকেই হয়তো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো 'প্রিয়তমা'…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বর্ষবরণের উদ্যাপনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা দেখে থাকি। তবে আজ এমন এক বিচিত্র…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৮ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অনিয়ম জীবনযাপনের জেরে শরীরে রোগের…