দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোলাপ জলের অনেক গুণ রয়েছে। এটি ত্বকের জন্যও যেমন উপকারী, চুলের জন্যও খুবই ভালো। চুলের নানা সমস্যা সমাধান করে, জেল্লা ফেরায় এই গোলাপ জল। তবে শুধু এর সঙ্গে একটি উপাদান মিশিয়ে নিতে হবে।
গরম পড়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় অতিরিক্ত চুল ওঠে যেতে পারে। চুল রুক্ষ ও শুষ্কও হয়ে উঠতে পারে। তাই এই সময় চুলের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন নেওয়ার।
তাই চুলের এই বিশেষ যত্ন নিতে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জলের সঙ্গে একটি উপাদান মিশিয়ে নিতে পারলে আপনি আরও বেশি উপকার পাবেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত
গোলাপ জলের গুণাগুণ জেনে নিন
গোলাপ জলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি। প্রতিটি ভিটামিনই স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। আবার চুলের জেল্লাও হয় দেখার মতো।
এছাড়াও গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্য়ান্ট উপাদান। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে। এটি স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা মুহূর্তেই সমাধান করে। সেইসঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য়ও ফেরায়।
গোলাপ জলের সঙ্গে মেশাতে হবে যে উপাদান
অবশ্য গোলাপ জল আপনি সরাসরি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে গোলাপ জলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগালে উপকার পাবেন।
আবার গোলাপ জলের মতোই অ্যালোভেরা জেলও বেশ উপকারী। এই অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে উপকারী ভিটামিন ই। এটি মূলত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা।
কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন?
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে নিন। এরমধ্য়ে মিশিয়ে দিন গোলাপ জল। একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে কয়েক সেকেন্ড ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। যারমধ্য়ে পছন্দের একটি এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। রোজমেরি অয়েল খুবই উপকারী একটি জিনিস। এই প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিতে হবে। আপনি ড্যাম্প হেয়ারেও লাগাতে পারেন এই স্প্রেটি। ফ্রিজি চুলের সমস্যাও মিটবে।
কিন্তু আপনার স্ক্যাল্পে কোনও সমস্যা থাকলে বা চুলের কোনও চিকিৎসা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার করা মোটেও ঠিক হবে না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।