দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় এই উৎসবটি পালিত হচ্ছে।
‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ পুরো জাতি আজ এক মহা আনন্দঘন পরিবেশে পালন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে আমরা রোজার ঈদ হিসেবে অভিহিত করে থাকি। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর আজকের এই ঈদ প্রতিটি মুসলমানের জন্যই অত্যন্ত আনন্দের। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে ঈদ করার জন্য সবাই ছুটে যান নিজ গ্রামের বাড়িতে। ঈদের আনন্দ তাইতো কখনও ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
গত এক মাসের রমজানের শুরু থেকেই মার্কেটগুলোতে কেনা-কাটা শুরু হয়েছিল। গতকাল গভীর রাত অবধি সেইসব মার্কেটগুলোতে ছিল মানুষের ভীড়। সবাই যে-যার সামর্থ অনুযায়ী কেনা-কাটা করেছেন।
ঈদ ধনী-গরিব সকলের। মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করার এক মহান সুযোগ করে দিয়েছেন। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়েরও।
চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে সাধ্যমতো উপাদেয় খাবারের আয়োজনের তোড়জোড়। ‘সেমাইয়ের ঈদ’ নামে প্রচলিত এই ঈদে নানা রকম সেমাইয়ের সঙ্গে থাকছে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও, কোরমাসহ সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন থেকে বাদ যাবেন না রোগী, বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও। হাসপাতাল, এতিমখানা এবং বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে প্রথাগতভাবে। সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে বিশেষ খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী প্রদান করেছেন।
ঈদ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে আছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ৭ দিনব্যাপি ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।