দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানোর জন্য আমরা কতো কিছুই না করি। কিন্তু খুব সহজ একটি জিনিস রয়েছে ডাবের পানি। এই ডাবের পানিতে এমন একটি জিনিস রয়েছে যা মিশিয়ে খেলে মাত্র ৭ দিনেই কমবে ওজন!
গরমের এই সময় এমন একটি জিনিস যা একসঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে, আবার গরমেও স্বস্তি দেবে। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ডাবের পানিই হতে পারে সেই পানীয়। যারসঙ্গে এমন একটি জিনিস রয়েছে যা মিশিয়ে নিলেই নিমেষে ওজন কমে যাবে!
ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের বাড়তি মেদও ঝরাতে পারে। তাছাড়াও এই পানীয়তে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, ক্যালশিয়ামের মতো নানা রকম উপাদান। যা শরীরের যত্ন নিতে সত্যিই পারদর্শী। ওজন কমানোর পর্বে ডাবের পানি খেয়ে থাকেন অনেকেই। তাতে সুফলও পাওয়া যায়।
তবে শুধু ডাবের পানি খাওয়ার বদলে এই পানীয়তে যদি তুলসীর বীজ মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাবেন। ওজন কমাতে হলে চিয়া বীজ, তিসির বীজের উপরেও ভরসা রাখেন অনেকেই। এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে এই তুলসীর বীজ। যারা দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা ডাবের পানির সঙ্গে যদি তুলসীর বীজ মিশিয়ে পর পর দুই সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে সত্যিই উপকার পাবেন। ডাবের পানি ছাড়াও অ্যাপল সাইডার ভিনিগারেও তুলসীর বীজ মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন। এতেও বাড়তি মেদ ঝরবে।
তবে তুলসীর বীজ আরও অনেক কাজে সাহায্য করে থাকে। কীভাবে এটি যত্ন নেয় শরীরের?
# এই তুলসীর বীজে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন ও ফাইবার। ওজন কমাতে সাহায্য করে এই দুটি উপাদান। বিশেষ করে বাড়তি মেদ ঝরাতে ফাইবারই সিদ্ধহস্ত। ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কম থাকে।
# শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও তুলসীর বীজ ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে এই গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখতে পুষ্টিবিদরা তুলসীর বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই বীজ শরীরের নিজস্ব তাপমাত্রা কম রাখে। ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পৃথক একটা প্রশান্তিও পাওয়া যায়।
# হজমজনিত সমস্যা দূর করতে তুলসীর বীজের জুড়ি নেই। তুলসীর বীজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন হজমের গোলমালও কমায়। অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। ডাবের পানি ছাড়াও লেবুর রস, এই বীজ আখের রস বা অন্য কোনও পানীয়ের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন ইচ্ছে করলে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।