প্রায় সময় হজমে গোলমাল হচ্ছে? কোন লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন আপনার গ্লুটেন অ্যালার্জি?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্লুটেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যেটি মূলত গম, রাই ও বার্লিতে থাকে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, সস, চিপ্‌স, বিয়ারে গ্লুটেন থাকে। জেনে নিতে পারেন গ্লুটেন অ্যালার্জির কিছু সাধারণ লক্ষণ।

গ্লুটেনে অ্যালার্জি খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অধিকাংশ সময়ই তা বোঝাই যায় না। গম, বার্লি এবং বেশ কিছু দানাশস্য, বাদাম, এমনকি কিছু লিপস্টিক, শ্যাম্পু থেকেও হতে পারে এই গ্লুটেন অ্যালার্জি।

অনেক খাবারই অ্যালার্জির কারণও হতে পারে। আপনার কোন খাবার খেয়ে অ্যালার্জি হচ্ছে, তা কিন্তু বোঝা মুশকিল। অনেকের গ্লুটেনজাতীয় খাবারে অ্যালার্জি হয়। গ্লুটেন মূলত এক ধরনের প্রোটিন, যেটা মূলত গম, রাই, বার্লিতেই থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব খাবারের মধ্যে, যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, চিপ্‌স, কেক, সস, বিয়ারে গ্লুটেন থাকে। জেনে নিন গ্লুটেন অ্যালার্জির কিছু সাধারণ লক্ষণসমূহ।

হজমে গোলমাল

গ্লুটেন অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণই হলো আইবিএস কিংবা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম। তবে প্রথমেই এই সমস্যা দেখা দিবে না। গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়। সেখান থেকে সমস্যা বাড়তে বাড়তে এক সময় আইবিএস হতে পারে।

গাঁটে ব্যাথা

আঙুল এবং হাঁটুর গাঁট ফুলে ওঠা, অসহ্য যন্ত্রণা গ্লুটেন অ্যালার্জিরও লক্ষণ হতে পারে।

র‌্যাশ ওঠা

সারা গায়ে লাল লাল দাগ হওয়ার এই সমস্যাকে বলা হয়ে থাকে কেরাটোসিস পিলারিস। সাধারণত গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকে এই ধরনের দাগ দেখা দিতে পারে। তবে অন্যান্য র‌্যাশের মতো এটি চুলকায় না। শরীরে ফ্যাট এবং ভিটামিন ঠিক মতো শোষিত না হওয়ার কারণে এই ধরনের র‌্যাশ দেখা যায়।

ক্লান্তি‌ ভাব

আপনি হয়তো খাওয়ার পরই খুব ক্লান্ত বোধ করেন? যদি আপনার শরীর গ্লুটেনের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাহলে খাবার থেকে প্রোটিন শরীরে ঠিক মতো শোষিত হচ্ছে না। যে কারণে মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, কোনও অংশই ঠিক মতো পুষ্টি পৌঁছায় না। এতে করে ক্লান্তি গ্রাস করে।

মাথা যন্ত্রণা হওয়া

২০০১ সালে নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গ্লুটেন শরীরে সহ্য না হলেই মাইগ্রেন, অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণার সমস্যাও হতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে প্রদাহের কারণে এমনটি হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।