দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত হয়ে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি সর্বকালের সর্বোচ্চে স্তরে গিয়ে পৌঁছেছে। এতে করে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে সাধারণ মানুষের দুরাবস্থা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে সহসা মুক্তি পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা।
২ মে পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিবিএস) জানিয়েছে যে, ভোক্তা মূল্যসূচক অনুযায়ী সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ! এর আগের মাসে অর্থাৎ গত মাসে ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ও ২০২২ সালের এপ্রিলে ছিল ১৩ দশমিক ৪!
বিনিয়োগ সংস্থা আরিফ হাবিব লিমিটেড বলেছে, ১৯৬৫ সালের পর হতে এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে পাকিস্তানে। এমনকি মূল্যস্ফীতির দিক থেকে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকেও পেছনে ফেলেছে বলেও জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েক মাস ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখে আসছে পাকিস্তানের জনগণ। এর কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে যে, অর্থনৈতিক সংকট, রুপির অবমূল্যায়ন ও গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ফসল বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। এসবের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিশাল পতন হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে যায়।
আরিফ হাবিব লিমিটেডের অর্থনীতিবিদ সানা তৌফিক বলেছেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি হয়েছে। গম, সবজি এবং ফলের বাড়তি দামের কারণে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। তাছাড়াও চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমটিকে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।