দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেভাবে পূর্বাভাস এবং আশঙ্কা ছিল; গতিপথ বদল করায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তেমনভাবে জোরালো আঘাত করেনি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। তবে উপকূলের খানিকটা শুধু ছুঁয়ে গেছে- তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
মোখার ছোবলে বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। উপড়ে গেছে শত শত গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল। পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেন্টমার্টিনের একাংশ। এইসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে নারীসহ ২ জনের। তবে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। সেইসঙ্গে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী এবং কুতুবদিয়া অঞ্চল।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারে তাণ্ডব চালাতে পারে- এমন আশঙ্কায় দেখানো হয় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। তবে সময়ের সঙ্গে মোখা দূর্বল হয়ে পড়ায় ও মিয়ানমারের দিকে বাঁক নেওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি মোকা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে আগেই ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লাখ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। সৈকতে উৎসুকজনতা আটকাতে নেওয়া হয় কঠোর পদক্ষেপ।
তবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় উপজেলা টেকনাফ এলাকা। সেন্টমার্টিনের একাংশ সমুদ্রের পানিতে ভাসছে। সেখানে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ সেখানকার বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে গেছে। সেন্টমার্টিনে গাছ পড়ে ২ জন নারী-পুরুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। সেখানে আহত হয়েছেন অনেকেই।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি অনেক। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে এই ঘূর্ণিঝড়। বৈরী পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে গেছে। জানমাল রক্ষায় দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।