দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল অনেকের পড়ে। পুরুষ-মহিলা উভয়েরই এই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু কি কি কারণে চুল পড়ে সে সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। আশা করি এই প্রতিবেদনে সবারই সে ধারণা জন্মাবে।
অনেক পুরুষের মাথায় চকচকে টাক দেখা যায় আবার কারো মাথা ভরা চুল। নারীদের মাথায় টাক দেখা না গেলেও চুলের গোছা অনেকেরই কম এবং চুল পড়ে মাথার চুল ছোট ছোট দেখা যায়। অবশ্য এই চুল পড়ার ধরণ ও কারণ এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। বিভিন্ন রকম শারীরিক, মানসিক ও পুষ্টি সমস্যার জন্য চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। নিম্নোক্ত কারণে চুল পড়ার সম্ভাবনা অনেক সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
গর্ভধারণ করলে অথবা বাচ্চা হওয়ার পরে প্রচুর চুল পড়ে। এসময়ে শরীর বিভিন্ন হরমোনজনিত পরিবর্তন আসে। তাই চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। তবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যে কারণে পরবর্তিতে আবার নতুন চুল গজিয়ে যায়।
শরীরের ওপর আকস্মিক কোনো চাপ গেলে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে। যে কোনো ধরণের অপারেশন, হঠাৎ করে কোনো দূর্ঘটনা হওয়া, বড় কোনো অসুস্থতা এমনকি জ্বর হলেও চুল পড়া বেড়ে যায়। যে কোনো ধরণের শারীরিক অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক জীবনচক্রে ব্যাঘাত ঘটায়। যে কারণে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় চুল পড়ে যায়। বিচ্ছেদ, প্রিয় মানুষের মৃত্যু, এমন কি পরীক্ষার চাপেও চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। সম্পর্কের টানাপোড়েন গেলেও চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং অনেক চুল ঝরে যেতে পারে। তাই মানসিক চাপ যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করুন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি না থাকলে চুল পড়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। কারণ প্রোটিন চুলের গঠনে সহায়তা করে। তাই প্রোটিনের অভাব হলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং চুল পড়ার হাত বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল জাতীয় খাবার থাকা উচিত।
আমেরিকার একাডেমী অফ ডার্মাটোলোজি বলেছে, শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর উপস্থিতিতে চুল পড়া বেড়ে যায়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরের দৈনিক ভিটামিন এ এর চাহিদা হচ্ছে ৫০০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট। প্রতিদিন এর বেশি ভিটামিন এ গ্রহণ করলে চুল পড়ার পরিমান বেড়ে যেতে পারে বলে তারা মত দিয়েছেন।
শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে একে হাইপোথাইরয়েডিসম বলা হয়। হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে মাথার চুল পড়ে যায় এবং চুলের বৃদ্ধি কমে যায় বলে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা।
এমনও দেখা যায় অনেক সময় চুলের অতিরিক্ত স্টাইল করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সাধের চুল গুলোই হারাতে হয়। নিয়মিত চুল রঙ করা, স্ট্রেইট করা, রিবন্ডিং, জেল অথবা হেয়ার স্প্রে লাগালে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং অনেক সময় চুল পড়া বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত ওজনও একটি বড় সমস্যা। অতিরিক্ত ডায়েটিং এর কারণে হঠাৎ অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস হলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। ওজন কমাতে সকালের নাস্তা ও রাতের খাবার বাদ দিলে অথবা পুষ্টিকর খাবার না খেলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।
তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে সবদিকে। উপরোক্ত সমস্যাগুলো যাতে আমাদের সামনে এসে হাজির না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সকলকেই মনে রাখতে হবে, চুল পড়া রোধ করতে নিয়ম মানতেই হবে। নইলে এক সময় আমাদের সাধের চুলগুলো আর মাথায় থাকবে না। তাই সময় থাকতেই সজাগ হোন। সূত্র: ইন্টারনেট।
This post was last modified on জুন ১৩, ২০২২ 11:44 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মাফতুহা জান্নাত জিম। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করে অজ্ঞাত বন্দুকধারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি বিশ্বের প্রায় জায়গাতেই ১২ ঘণ্টার দিন, ১২ ঘণ্টার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফপানিতে গোসল করা কী আদৌ ভালো? কেও কেও বলেন, শরীরে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ লেবুতে থাকা ফাইবারের কারণেই পেটভার হয়ে থাকে। অন্য কিছু…