আম খেলেও গায়ে ফোড়া বা মুখে ব্রণ কোনওটাই হবে না কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরম পড়ছে দেদারছে। দ্রুত আম পাকাতে অনেক সময় বিভিন্ন রাসায়নিকও স্প্রে করা হয়ে থাকে। এগুলো শরীরে গেলে শুধু ত্বকেরই নয়, শারীরিক নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাহলে এগুলো থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

গরমকাল এলেই পাকা আম খাওয়ার জন্য উদগ্রিব থাকেন অধিকাংশ বাঙালি। গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরূপালী ইত্যাদি যেমন রকমারি নাম, তেমন তার স্বাদও। কোনটা রেখে কোনটা খাই, এভাবে খেতে গিয়ে যেই বেশি আম খাওয়া হয়ে যায়, তখনই মুখে উঁকি মারে ব্রণ। সঙ্গে যদি অতিরিক্ত গরম পড়ে, তাহলে গায়ে ফোড়া হওয়া আটকানো যাবে না। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, আমের খোসায় এমন অনেক ধরনের উপাদান থাকে যেগুলো শরীর ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, র‌্যাশ, অন্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে হলে আম খাওয়ার আগে তা বেশ কিছুক্ষণ পানি ভিজিয়ে রাখতে হবে।

খাওয়ার পূর্বে আম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কী ধরনের সমস্যা এড়ানো যাবে?

# আম খাওয়ার অন্তত ২ হতে ৩ ঘণ্টা পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আমে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়। অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত এই অ্যাসিড থাকে আমের খোসাতে। এই অ্যাসিড শরীরে আয়রণ, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণেও বাধা দেয়। তাই আম খাওয়ার ঘণ্টা খানেক পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এই অ্যাসিড দূর হয়। ব্রণ, র‌্যাশ, ফোড়া থেকে পেটের সমস্যা- সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

# বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মূল খাবারের সঙ্গে না খেয়ে আম ফল হিসেবে খাওয়াই বেশি ভালো। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, খাবারের সঙ্গে আম খেলে সেখান থেকে হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই দুপুরে খাওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্বে কিংবা খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর আম খাওয়া যেতে পারে।

# অনেকের আম খেলে ত্বকে ব্রণ, র‌্যাশ বা ফোড়া হওয়ার প্রবণতা থাকে, তারা আমের সঙ্গে সামান্য সবজি বা চিয়াবীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।