দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের ডান দিকের ব্যথা কী কারণে হতে পারে সেটি আমাদের অনেকেরই অজানা। আজ জেনে নিন কেনো পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়।
আপনি জানেন কী কী উপসর্গ দেখলে বুঝবেন যে, আপনার পেটের এই ব্যথা অ্যাপেনডিক্সের? চিকিৎসকরা মনে করেন, এই সমস্যায় পেটে ব্যথা ছাড়াও বেশ কিছু উপসর্গও দেখা যায়। ব্যথার ধরনও তখন অন্য রকম হয়।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে পেটে ব্যথা কমবেশি অনেকের হয়ে থাকে। তবে পেটে ব্যথা বড় কোনও অসুখের ইঙ্গিত কি-না, সব সময় তা বোঝাও যায় না। যেমন ধরুন অ্যাপেনডিক্স। বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো এই ছোট থলির আলাদা করে কোনও কাজও নেই। তবে অ্যাপেডিক্সে সংক্রমণ হলে ঠিক সময় চিকিৎসা করিয়ে অস্ত্রোপচার না হলে প্রাণসংশয়ও হতে পারে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, অনেক সময় কোনও খাবারের টুকরো ঢুকে কিংবা অন্য কোনও কারণে ওই থলির মতো অংশটির মুখ যদি আটকে গিয়ে থাকে, তা হলে সেই অংশে সংক্রমণও ঘটে। আর তখন জায়গাটা ফুলে ওঠে, ব্যথাও হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় এটিকেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলে। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও এই রোগটি হতে পারে। সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বেশি দেখা যায়। তারপর বয়স যতো বাড়বে, অ্যাপেন্ডিক্স আরও ছোট হয়ে শুকিয়ে যাবে।
অ্যাপেনডিক্সে সংক্রমণ হলে সাধারণত তলপেট ফুলে ওঠে, সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং ব্যথা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। অ্যাপেনডিক্স তলপেটের ডান দিকেই থাকে। তাই এই ব্যথা সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে সেটি তলপেটের ডান দিকেই ছড়াতে থাকে। তারসঙ্গে কুঁচকির উপরের অংশেও ব্যথা হতে থাকে। সংক্রমণ শুরুর দিকে অল্প ব্যথা থাকলেও সঙ্গে বমি ভাব হয়। আর সারাক্ষণই বমিভাব থাকে।
এই প্রকার সংক্রমণ হলেই জিভে কোনও রকম স্বাদই ভালো লাগে না, তাই খাদ্যে অরুচি দেখা দিতে পারে। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের শুরুতেই ডায়েরিয়াও দেখা যায়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে। তলপেটের ডান দিকে ব্যথার সঙ্গে ঘুসঘুসে জ্বরও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।