দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেবলমাত্র ধূমায়িত পদার্থই নয়, তামাকজাত যে কোনও পদার্থ চিবোলেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
আমরা সবাই জানি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে তা দাঁতের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা কী আপনি জানেন? চিকিৎসকরা বলেছেন, শুধু ধূমায়িত পদার্থই নয় তামাকজাত যে কোনও পদার্থ চিবোলেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের ক্ষতি করতে পারে অত্যধিক ধূমপান। তবে শুধু সিগারেটজাতীয় জিনিসকেই এই ক্ষেত্রে দোষ দেওয়া মোটেও ঠিক নয়। তামাক রয়েছে এমন যে কোনও ধরনের মুখশুদ্ধি খেলেও দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটানা সিগারেট খেলে দাঁতের উপর একটি নরম স্তর তৈরি হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা এটিকে ‘প্লাক’ বলেন। খাবার টানতে চুম্বকের মতোই কাজ করে এই ‘প্লাক’। দাঁতের মসৃণ স্তর সরিয়ে দিয়ে এটি একটি রুক্ষ আবরণ তৈরি করে থাকে। যে কারণে একই সঙ্গে ক্ষতি হয় মাড়ি ও দাঁতের।
দাঁতের রং পরিবর্তন
দীর্ঘদিন ধরে তামাকজাত পদার্থ সেবন করতে থাকলে দাঁতে দাগছোপ পড়তে বাধ্য। দাঁতে এই হলদেটে কিংবা লালচে দাগ শুধু ব্রাশ করলেই যায় না।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
ধূমপান করলে কিংবা তামাকজাতীয় পদার্থ দীর্ঘক্ষণ মুখে রেখে দেওয়ার অভ্যাস থাকলে মুখের দুর্গন্ধও হতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষার যা ‘হ্যালিটোসিস’ নামেই পরিচিত। তামাকের মধ্যে থাকা পদার্থ মুখে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে মুখে এমন দুর্গন্ধ হয়।
মাড়ির সমস্যা
ধূমপান করার কারণে দাঁতের পাশাপাশি মাড়িরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। যে কারণে সামান্য চোট-আঘাতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দাঁত ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ক্যান্সার
মুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারণই হলো তামাকজাত পদার্থ। দীর্ঘদিন ধরে গুটখা কিংবা তামাক খাওয়ার অভ্যাস থাকলে মুখ, গলা, জিভ, ঠোঁট, চোয়ালে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যান্সারও হতে পারে।
দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া
অতিরিক্ত ধূমপান করলে কিংবা তামাকজাত পদার্থ খেলে দাঁতের উপরের ‘এনামেল’-এর স্তরটি নষ্ট হয়। এতে দাঁত ক্ষয়ে যেতে থাকে। দীর্ঘদিন এই অবস্থা থাকলে মাড়ি থেকে দাঁত টুকরো হয়ে ভেঙে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।