ওজন কমানো ও হার্টের স্বাস্থ্য সব কিছুতেই পাকা পেঁপের জুড়ি নেই

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজের প্রাকৃতিক উৎস পাকা পেঁপে চোখের জন্যও খুবই উপকারী। বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর পাকা পেঁপে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অনেকেই পাকা পেঁপের গন্ধে নাক সিঁটকোন। তবে আপনি হয়তো জানেন না এই পেঁপের কতো গুণ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করে থাকেন। শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, বয়স্কদের অর্শের সমস্যায় আর কম বয়সিদের ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান প্রথম। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজের প্রাকৃতিক উৎস পাকা পেঁপে চোখের জন্যও খুবই উপকারী। বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর পাকা পেঁপে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এ ছাড়াও পাকা পেঁপে শরীরের আর কী কী উপকারে আসে?

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধির যম। তাছাড়াও পেঁপেতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে যেমন মুখের রুচি ফেরায় তেমনি খিদে বাড়ায় ও পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, যাদের কোষ্ট-কাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

প্রতিরোধ ক্ষমতা

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পেঁপে। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকে। শরীরে কোনও রকম সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ওজন কমাতে

পাকা পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে তা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। সেইসঙ্গে, বিপাক হারও বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়াও যারা ওজন কমাতে ডায়েট মেনে খাবার খান, তাদের জন্যও ভালো পাকা পেঁপে।

হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে পেঁপে

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হলো, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এই যৌগটি। প্রাকৃতিকভাবে পটাশিয়ামের উৎসই হলো এই পাকা পেঁপে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।