দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস- এসডিজি) পূরণের যাত্রা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ইউএনওপিএস বাংলাদেশ (ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস) তাদের কার্যালয়ে ৬ জুন ৩য় বারের মতো ফ্ল্যাগশিপ গোলটেবিল বৈঠক এসডিজি ক্যাফের আরেকটি সফল আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
এসডিজি ৬ এর ওপর গুরুত্বারোপ করে ওয়াটারএইডের সহযোগিতায় এসডিজি ক্যাফের তৃতীয় পর্বে এবার ‘বাংলাদেশ’স জার্নি ইন এনসিউরিং অ্যাকসেস টু সাসটেইনেবল ওয়াশ সার্ভিসেস’ শীর্ষক এই আলোচনায় অংশ নেন আলোচকরা।
এবারের পর্বে এসডিজি ক্যাফেতে উপস্থিত হন বাংলাদেশ সরকার, একাডেমিয়া, বুদ্ধিজীবী, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা, দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী ও পরামর্শকদের প্রতিনিধি সহ মূল অংশীদাররা। অনুষ্ঠানে এসডিজি ৬ অর্জন, বাংলাদেশে টেকসই ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করার ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ সংলাপ এবং গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বিস্তৃত অভিজ্ঞতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাগুলো তুলে ধরেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। টেকসই এবং ব্যবহারযোগ্য ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেন তিনি; পাশাপাশি, তিনি তার বক্তব্যে ভবিষ্যতের করণীয় নিয়েও আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, “সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মানুষের একমাত্র মৌলিক চাহিদা হলো নিরাপদ পানি ব্যবহারের সুযোগ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মানুষের জন্য পানির উৎসের উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে; তবে, নিরাপদ পানি ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে আরও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, এই বিষয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো কার্যকরী উপায়ে অবদান রাখতে সক্ষম হবে, যেন এসডিজি ৬ এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি, মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা যায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: ওয়াটারএইড, ওয়াটারডটঅর্গ, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন, সিমাভি, এসএমভি নেদারল্যান্ডস ও ইউনিসেফ এর প্রতিনিধিরা। বাকিদের সঙ্গে তারাও আলোচনায় অংশ নেন ও ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ইউএনওপিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন বলেন, “এসডিজি ক্যাফের এই পর্বটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে ও টেকসই এবং অভিগম্য ওয়াশ পরিষেবাগুলি বিকাশের জন্য বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যত পথকে তুলে ধরেছে। ইউএনওপিএস -এর ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় ওয়াশ পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। গ্রামীণ এবং শহুরে জনবসতি এবং প্রতিষ্ঠানে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা তৈরি ও ওয়াশ-এর বিধান বিকাশের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে আসছি আমরা।”
তথ্য আদান-প্রদান, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ এবং সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখছে এসডিজি ক্যাফে। দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইউএনওপিএস বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ এই এসডিজি ক্যাফে। সফলভাবে এসডিজি অর্জনের কৌশল নির্ধারণ এবং অর্থপূর্ণ সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই আয়োজন করা হয়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।