দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি দেওয়া হয় গত শুক্রবার । সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা ভিড় করছেন বাংলাদেশের হিমেল আশরাফ পরিচালিত এই ছবিটি দেখার জন্য।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র পরিবেশনায় দেশ দুটির ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাচ্ছে এই ছবিটি। ‘প্রিয়তমা’র বিদেশ যাত্রা সম্পর্কে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব বলেছেন, অফপিক কিংবা সাধারণ সময়ে এই সংখ্যা ১৪২ এর সমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় থিয়েটার লিস্ট শেয়ার করে আমেরিকা এবং কানাডার দর্শকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পরিচালক হিমেল আশরাফ, প্রযোজক আরশাদ আদনান এবং সিনেমার প্রধান অভিনেতা শাকিব খান।
৭ জুলাই থেকে সপ্তাহজুড়ে আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত এএমসি, রিগ্যাল, সিনেমার্ক, শোকেইস চেইনে ১৮টি স্টেট এর ৩৭টি থিয়েটারে চলছে ‘প্রিয়তমা’। স্টেটগুলো হলো নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি. মেরিল্যান্ড, পেনসিলভেনিয়া, ওহাইও, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, মিশিগান, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, টেনেসি, জর্জিয়া, এলাবামা, ওকলাহোমা, কলোরাডো, অ্যারিজোনা, নেভাদা ও ক্যালিফোর্নিয়া।
একই দিন থেকে পুরো সপ্তাহ জুড়ে কানাডার সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্টের চেইনে ৪টি প্রভিন্স অন্টারিও, ম্যানিটোবা, অ্যালবার্টা ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ৫টি থিয়েটারে থাকে ‘প্রিয়তমা’।
‘প্রিয়তমা’য় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাকিব খান এবং কোলকাতার ইধিকা পাল। ঈদের দিন (২৯ জুন) ছবিটি বাংলাদেশের ১০৭টি হলে মুক্তি পায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে তা আরও বাড়ে। যে কারণে এই সপ্তাহে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মোট দেড়শ প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। বিদেশের মাটিতেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org