ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহেইমার’ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২১ জুলাই

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত মঙ্গলবার প্যারিসে হয়ে গেল ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহেইমার’ সিনেমাটির প্রিমিয়ার। ছবিটি দেখে সমালোচকরা বলেছেন, এই সিনেমাটি নোলানের সেরা সৃষ্টি।

‘কলিডার’-এর স্টিভ ওয়েইনটাব ছবিটি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহেইমার এক কথায় অসাধারণ। ছবির প্রতিটি বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়। সবার পারফর্মেন্সই দারুণ। ক্যামেরার পেছনের কাজ, নোলানের গল্প বলার ধরন সবই অসাধারণ। তিন ঘণ্টা শেষ হয়ে যায় একেবারে নিমিষেই।’

‘ফিল্ম কম্প্যানিয়ন’-এর সুচরিতা ত্যাগী আইম্যাক্স ফরম্যাট-এ এই ছবিটি দেখেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন যে, ‘আইম্যাক্স স্ক্রিনে ওপেনহেইমার দেখার বিষয়টি যতোটুকু ধারণা করেছিলাম তার চেয়েও অনেক বড় বিষয়। নোলানের আগের সব কাজ থেকে একেবারেই ভিন্ন, তবুও নিজের ফিল্মোগ্রাফির সঙ্গে খাপ খাইয়েছেন। সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমই দারুণ যা সুনিপুণ হাতে ধারণও করেছেন হোয়েতে ভ্যান হোয়েতেমা।’

‘পারমাণবিক বোমার জনক’ জে রবার্ট ওপেনহেইমারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। তবে এটি মোটেও বায়োপিক নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত। ‘ওপেনহেইমার’ পারমাণবিক বোমার বিপ্লবী সৃষ্টি ও এর উৎক্ষেপণের পরের গল্প বলবেন দর্শকদের। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২১ জুলাই। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org