দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে সময়ে সারাক্ষণ স্মার্টফোনেই বুঁদ হয়ে থাকছেন সকলেই। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করছেন, আবার গেম খেলা বা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানোতো আছেই। একের পর এক কাজে ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোন। তবে সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করে চোখের ক্ষতি হচ্ছে। সেটি রোধ করবেন কীভাবে?
তবে কয়েকটি বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে স্মার্টফোনের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে চোখকে বাঁচাতে পারবেন। আজ জেনে নিন স্মার্টফোন ব্যবহারে কী কী ব্যবহার করবেন-
স্ক্রিন ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করুন
খুব বেশি কিংবা খুব কম ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্টই ক্ষতিকর হতে পারে চোখের জন্য। তাই মোবাইলের সেটিংসে ঢুকে আগে সেই ফিচার্সটি অ্যাডজাস্ট করে রাখুন। যদি এটি বারবার করতে অনীহা লাগে, তাহলে আপনি অ্যাডপ্টিভ ব্রাইটনেস সেটিংসটিও ব্যবহার করতে পারেন। আশপাশে আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইলের ব্রাইটনেস পাল্টে তখন যাবে।
ব্যবহার করুন ডার্ক মোড
আপনার মোবাইলের উজ্জ্বল আলো বহু ক্ষেত্রেই চোখের সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে অন্ধকারের মধ্যে। তাই এইক্ষেত্রে মোবাইলের ডার্ক মোড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে ডার্ক মোড অন করুন। এতে চোখে চাপ অনেকটা কম পড়বে।
মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা
মোবাইলে ভর্তি থাকে একগুচ্ছ অ্যাপ। সেইসব হোমস্ক্রিন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বহু সময়। সেগুলোকে গুছিয়ে রাখতে হবে হোম স্ক্রিনে। সেইসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও এর সঙ্গে কিছুটা জড়িত। সেইসঙ্গে মোবাইলের বাইরের স্ক্রিনটিও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। তাতে চোখে কম স্ট্রেন পড়বে। একটি পরিষ্কার, নরম কাপড় দিয়ে স্ক্রিন পরিষ্কার করুন নিয়মিতভাবে।
ফোনের টেক্সট বড় রাখুন
আপনার ফোনের ছোট্ট স্ক্রিন, সেখানে খুদে খুদে হরফ অনেক সময় বেশ চাপ ফেলতে পারে চোখের উপর। যে কারণে চেষ্টা করুন আকারে সামান্য বড় টেক্সট ব্যবহার করার জন্য। আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে ডিসপ্লে অপশনে যাওয়ার পর টেক্সট সাইজ সুবিধা মতো বাড়িয়ে দিন। এতে করে মেসেজ পড়তে কিংবা মোবাইলের অন্য কাজেও সুবিধা পাবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org