ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা টিফিনে কী খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা রোগ। তাই যে কোনও উপায়েই হোক না কেনো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। আর এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন কালো ছোলায়।

বর্তমানে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে ঘরে ঘরে। প্রাত্যহিক জীবনে নানা রকম অনিয়ম মাঝবয়স থেকেই এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে আমাদের মধ্যে। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অত্যাধিক মানসিক চাপের কারণে বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোতে না পেরোতেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। আবার সুস্থ জীবনযাপন করেও জিনগত কারণে কারও কারও শরীরে ধরা পড়ে ডায়াবেটিস। এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা রোগ।

ডায়াবেটিসকে জব্দ করা খুব সহজ কাজ নয়। খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা, প্রাত্যহিক জীবনে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ তো আছেই। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে খাওয়া-দাওয়ায় চলে আসে একাধিক বিধি-নিষেধও। আর তখন ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে কোনও উপায়েই হোক না কেনো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন কালো ছোলায়।

Related Post

ডায়াবেটিকরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কালো ছোলা খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কালো ছোলায় ১০ গ্রামের বেশি পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। শুধু ডায়াবেটিসই নয়, ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে থাকে। ওজন ঝরানোর ডায়েটেও ছোলা রাখতে পারেন ইচ্ছে করলে। বাড়তি ওজনও অনেক সময় ডায়াবিবেটিসের কারণ হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কালো ছোলা রাখতে পারেন।

কী ভাবে কালো ছোলা খাবেন? ডায়াবেটিস রোগীরা প্রাতরাশে বা সন্ধের টিফিনে কালো ছোলার চাট বানিয়েও খেতে পারেন। অফিস বা স্কুল-কলেজে সেদ্ধ ছোলা সঙ্গে রাখতেই পারেন। খিদে পেলেই মুঠো করে খেয়ে নিতে পারেন। ছোলা দিয়ে তরকারি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। অঙ্কুরিত ছোলা দিয়ে স্যালাড বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

ছোলা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে হার্টও ভালো থাকে। শরীরে আয়রণে ঘাটতি হলেও ছোলা খেতে পারেন। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতেও ছোলা ডায়েটে রাখাটা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ২০, ২০২৩ 2:56 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

আবারও বিয়ের পিড়িতে বসলেন সানি লিওন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল সানি লিওন আবারও বিয়ের পিড়িতে বসলেন।…

% দিন আগে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…

% দিন আগে

ব্র্যাক ব্যাংক এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বেসিসের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…

% দিন আগে

৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…

% দিন আগে

অবার এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পিরিয়ডকালীন কী ধরনের খাবার খেলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়ানো যাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…

% দিন আগে