দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঝালকাঠিতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকার একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পুকুরে পড়ে গেলে শিশুসহ ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে বাসের একটি টায়ার বাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ঝালকাঠি থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, বাশার স্মৃতি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হতে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের ভেতর হতে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুসহ প্রথমেই ১৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুয়াল হাসান। এরপর আরও ২ জন মিলে মোট ১৭ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
খবর পেয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, বাসটি পুলিশের ক্রেনদিয়ে উপরে টেনে তোলা হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org