দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম আবারও কোলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন। ইতিপূর্বে পরিচালক ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
এবারও একই পরিচালকের নির্মীত ‘হুব্বা’ সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় আসতে যাচ্ছেন মোশাররফ করিম। ইতিমধ্যে ‘হুব্বা’র ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এলো। পরনে শার্ট ও রঙিন লুঙ্গি, গলায় গাঁদা ফুলের বড় একটি মালা, দুই পাশে এক ঝাঁক সহশিল্পী নিয়ে দু’পাশে দু’হাত প্রসারিত করে নাচছেন মোশাররফ করিম। ১১ সেকেন্ডের এক মোশন পোস্টারে মোশাররফ করিমের নতুন এই লুকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ভক্তরা ।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ‘হুব্বা’ সিনেমার নাম ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিমকে। এছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন পৌলমী বসুসহ প্রমুখ।
সিনেমাটির কাহিনী এমন: নব্বই দশকের শেষের দিকে উত্থান ঘটেছিলো হুব্বা শ্যামল নামক এক গ্যাংস্টারের। ভারতের হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। এমনই এক গ্যাংস্টারের জীবনকে কেন্দ্র করেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ব্রাত্য বসু।
এই বিষয়ে পরিচালক ব্রাত্য বললেন, থ্রিলার ও কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই সিনেমাটি। হুব্বা শ্যামল ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন। খুন, জখম, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি বহু অপরাধের অপরাধী সে। অজস্র পুলিশ মামলা ছিল তার নামে। এক সময় তিনি ভোটেও দাঁড়াতে চান। যতোবারই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, প্রতিবারই জামিন পেয়ে আবার বেরিয়ে যান। বৈদ্যবাটির খালে ২০১১ সালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এই ছবির মাধ্যমে আমি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অপরাধ জগতের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি মাত্র।
এই ‘হুব্বা’ সিনেমাটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস্ কমিউনিকেশন’। প্রযোজক বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি যে, ভালো ছবি তৈরি হয় শুধুমাত্র বড় পর্দার জন্যই। বিশেষত: ‘অপরাজিত’-র পর আমার দর্শক সেটিই প্রমাণ করে দিয়েছে। ‘ডিকশনারি’-র পর ব্রাত্যর সঙ্গে আমার এটিই দ্বিতীয় কাজ। একটা সিনেমা তৈরির জন্য ব্রাত্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করছি যে, দর্শকরাও আমাদের এই দ্বিতীয় কাজ পছন্দ করবেন। এই ছবিতে বেশ কিছু চমকও রয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org