দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৌড়ালে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়ে থাকে। তবে ওজন ঝরার পাশাপাশি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। তাই খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চার কিছু সুফল পাওয়া যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও ভিতর থেকে ফিট থাকতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই সেটিও ঠিক। তাই অনেকেই প্রতিদিন জিমে যান। আবার কেও বাড়িতেই ব্যায়াম বা যোগাসন করেন। তবে ঘাম ঝরানোর আরও অনেক পথ কিন্তু আমাদের রয়েছে। যেমন- অনেকেই নিয়ম করে দৌড়াতে যান। কয়েক কিলোমিটার পথ দৌড়েই পাড়ি দেন তিনি। চিকিৎসকেদের মতে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত জিমে ট্রেডমিলে দৌড়ানোর চেয়ে খোলা আকাশের নীচে দৌড়ানোর তুলনায় বেশিই উপকারী। তবে শুধু দৌড়ালেই চলবে না। সেইসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে নিয়ম মেনেই। তবেই পাওয়া যাবে সুফল।
আমরা জানি দৌড়ালে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়। ওজন ঝরার পাশাপাশি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থেকেই যায়। সেই কারণে খাওয়া-দাওয়ায় আরও জোর দিতে হবে। সাধারণত খালি পেটে দৌড়াতে বারণ করা হয়। আবার ভারি কোনও খাবার খেয়েও দৌড়ানো মোটেও ঠিক নয়। যারা নিয়মিত দৌড়াতে যান, কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাটা জরুরি তা আজ জেনে নিন।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ফিট থাকতে ফ্যাট ছাড়াটা জরুরি। তবে দৌড়ঝাঁপ করলে প্রতিদিন পাতে অল্প হলেও ফ্যাট রাখার কথা বলেছেন পুষ্টিবিদরা। ফ্যাট মানেই সেটি ক্ষতিকর নয়, কারণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও রয়েছে। তেমন খাবার বেছে নেওয়াটা জরুরি। সেইসঙ্গে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে এমন ধরনের খাবার বেশি করে খাওয়াটা জরুরি। দৌড়ালে বেশি ঘাম হবে। যে কারণে অনেক সময় শরীর ভিতর থেকে শুকিয়েও যায়। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে এই ধরনের খাবার খাওয়াটা জরুরি।
খাদ্যে স্বাস্থ্যকর উপাদান
শুধুমাত্র ফ্যাটই নয়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, মিনারেলসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নিয়ম করে খেতেই হবে। দিনে মোট ৬টি মিল খাওয়া জরুরি। যারমধ্যে ৩টি বড় ও বাকি ৩টি ছোট। মাংস, মাছ, সবুজ শাক-সব্জি, ডিমের সাদা অংশ, সয়া মিল্ক, বাদামের মতো খাবার বেশি করে খাওয়া দরকার।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে
কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়ে থাকে। তাই নিয়ম করে দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলে পানি বেশি করে খেতে হবে। শরীরে যদি পানির পরিমাণ কমে যায়, সেই ক্ষেত্রে দৌড়েও কোনই সুফল পাওয়া যাবে না।
শরীরের চাহিদা বুঝে তবেই ডায়েট
শরীরের কাঠামো এক এক জনের ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যে কারণে খাবারের চাহিদা সকলের ক্ষেত্রেই একই রকম নয়। কারও শরীরের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট বেশি দরকার, আবার কারও ফাইবার। দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলে ডায়েটের তালিকা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে তবেই ঠিক করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডায়েট করতে হবে নইলে হিতে বিপরিতও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২৩ 3:39 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…