দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মন্থন গুপ্ত নামের এক যুবক থাকার জন্য শহরে ছোট্ট একটি ঘর খুঁজছিলেন। সেই ঘর যেনো একটু সাজানো-গোছানো হয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, এমনটিই চাওয়া ছিল তার। তবে পুরো শহরে খুঁজেও পাননি ঘর শেষ পর্যন্ত জেল খানার ঘর ‘ভাড়া’ নিলেন ওই যুবক!
পুরো শহর চষে ফেললেও মন্থন গুপ্ত নামে ওই যুবক পাননি পছন্দমতো কোনো ঘর। তাই বাধ্য হয়েই শেষ পর্যন্ত জেলখানার একটি সেল ভাড়া নিয়ে ফেললেন তিনি! এমন এক আজব ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে।
মন্থন গুপ্ত নামে ওই যুবক দাবি করেছেন যে, ঘর ভাড়া নিতে শহরজুড়ে হন্য হয়ে ঘুরেছেন তিনি। তবে হতাশই হতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত কোনো ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি নয়, তার থাকার জন্য নতুন যে ঠিকানা হয়েছে সেটি হলো জেলখানা!
সম্প্রতি টুইটারে এক পোস্টে মন্থন জানিয়েছেন, জেলের মতো ওই ঘরটিও খুব ছোট। কয়েদির থাকার জন্য যেমনটি সাধারণ হয়ে থাকে! ঘরের একটা দরজা ও একটা জানালা। কোনো রকমে একটি ছোট খাট, একটি কাবার্ড ও একটি টেবিল রাখা হয়েছে। দরজা রয়েছে, তাও আবার কাঠের নয়- লোহার গরাদ।
নতুন ঘরের সেই ছবিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মন্থন গুপ্ত। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, অবশেষে বেঙ্গালুরুতে একটি ঝকঝকে ঘর খুঁজে পেলাম। তারপর রসিকতার মন্থন গুপ্ত করে বলেছেন, আমার দুয়ারে ২৪ ঘণ্টা, সারা সপ্তাহই পাহারা থাকে। পুরোপুরি নিরাপত্তার মধ্যেই রয়েছি আমি। তবে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org