দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনও অপারেশন ছাড়াই নারী থেকে পরিণত হচ্ছেন পুরুষে! কীভাবে সম্ভব? তবে সত্যিই তাই ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার জান্নাতির সঙ্গে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, কোনও রকম অপারেশন ছাড়াই নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার জান্নাতি আক্তার। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণীকে দেখতে রীতিমতো উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়।
কীভাবে সম্ভব এমন ঘটনা?
কোনও অপারেশন ছাড়াই নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছেন বাংলাদেশের জান্নাতি আক্তার! বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ১৭ বছর বয়সী এই তরুণীকে দেখতে রীতিমতো উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। কিন্তু কীভাবে সম্ভব এই ঘটনা? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার গোরদহ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম এবং শিল্পি বেগমের মেয়ে জান্নাতি। পড়াশোনাতেও বরাবর মেধাবী ছাত্রী সে। গাবতলী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে SSC পরীক্ষা দেয় জান্নাতি। এই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় সে। তবে আচমকাই জান্নাতির শরীরে একাধিক বদল ঘটতে থাকে। তার গলার স্বর পরিবর্তন হতে শুরু করে। উঠছে গোঁফ-দাড়ি। যে কারণে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তবে কি কোনও কারণে পুরুষ হয়ে গেলো জান্নাতি? এই প্রশ্ন করতে থাকে সবাই।
সম্প্রতি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাবতলী উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় জান্নাতিকে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ডা. শারমীনা পারভীন। তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, হরমোনের কারণে জান্নাতির গোঁফ ও দাড়ি গজাচ্ছে। তবে অপারেশন করলে পুরুষ হয়ে উঠতে পারে সে। তবে তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
জান্নাতির মা শিল্পী বেগম গৃহবধূ ও বাবা জহুরুল ইসলাম একজন কৃষক। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করার জন্য বাড়ির সামনে মুদির দোকান চালাতো জান্নাতি। তার চেহারায় বদল আসার ঘটনা চাউর হতেই রীতিমতো ভিড় জমেছে তাদের বাড়িতে। ইতিমধ্যেই তার নাম বদল করে রাখা হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস।
জান্নাতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তিনি বিষয়টি আন্দাজ করেও লজ্জার কারণে কাওকে এই বিষয়ে কিছুই খোলাসা করে জানাননি। তিনি মনে করেন, আল্লাহ যা করেছেন তা হয়তো ভালোর জন্য করেছেন। নিজের জীবন কারও কথা শুনে থমকে রাখার পাত্রীও নন তিনি। তাই কলেজে ভর্তি হওয়ার কথাও ভেবেছেন তিনি। আগামীদিনে চিকিৎসক হয়ে দুঃস্থদের সেবা করাই তার লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন জান্নাতি। তার এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে তাকে সমর্থন করেছেন পরিবার এবং আত্মীয়রা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ৭, ২০২৩ 3:19 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…